মাদক শনাক্তে দেশে এলো আধুনিক যন্ত্রপাতি

প্রকাশ | ১৭ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মাদকদ্রব্য শনাক্তের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি এলো বাংলাদেশে। ‘দ্য প্রজেক্ট ফর ইলিসিট ড্রাগ ইরাডাকশন অব অ্যাডভান্সড ম্যানেজমেন্ট থ্রো ইট (আই ড্রিম ইট)’ শীষর্ক প্রকল্পের আওতায় এসব যন্ত্র কোরিয়া থেকে আনা হয়েছে। সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এসব যন্ত্রপাতি হস্তান্তর করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ‘আই ড্রিম ইট’ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সবর্প্রথম মাদকদ্রব্য শনাক্তকরণ যন্ত্র পেল। এই যন্ত্রের মাধ্যমে মাদকবিরোধী অভিযানে মাদকদ্রব্য ধরার কাজটি আরও সহজ হবে। প্রজেক্টের আওতায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে তিনটি পিকআপ ও দুটি মাইক্রো, ২৯ ধরনের যন্ত্রপাতি ও ১৫০টি কম্পিউটার সরবরাহ করা হয়। প্রায় চার মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটির কাজ আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে শেষ হবে। রোববার পঁাচটি গাড়ির চাবি হস্তান্তর করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কৈকা) ও বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগ এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগঁাওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কাযার্লয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মাদকবিরোধী অবস্থানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেয়া হবে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করা হবে। সে লক্ষ্যে যেখানে মাদকের সন্ধান মিলবে সেখানেই চলবে অভিযান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাজকে আরও গতিশীল করতে আজকের এ উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে। অনুষ্ঠানে কৈকার কান্ট্রি ডিরেক্টর জো হান-গু বলেন, ‘আই ড্রিম ইট’ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে যেসব যন্ত্রপাতি ও কম্পিউটার সরবরাহ করা হলো তা দিয়ে মাদক নিমূের্লর পথ সহজ হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাদক শনাক্তে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আই ড্রিম ইট’ প্রজেক্টের মাধ্যমে আমাদের কাছে হস্তান্তরিত যন্ত্রের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩৭টি সেবা সহজীকরণ হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের রাসায়নিক পরীক্ষাগার আধুনিকরণ করা হবে।