আরেকটি মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে পরোয়ানার আবেদন

প্রকাশ | ১৭ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘কটূক্তির’ অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন করেছেন মামলার বাদী জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। পুলিশ এ মামলায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়ে আদালতে যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে, তা পযাের্লাচনার জন্য ২৯ আগস্ট দিন রেখে ঢাকার মহানগর হাকিম আবু সাঈদ সোমবার বলেছেন, পরোয়ানার আবেদনের বিষয়ে তার পরে আদেশ দেয়া হবে। মামলার বাদী এ বি সিদ্দিকী সকালে পরোয়ানা চেয়ে আবেদন করার পর দুপুরে শুনানি করে বিচারক ওই দিন ঠিক করে আদেশ দেন বলে এ আদালতের পেশকার মো. রেজাউল করিম জানান। জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুনীির্ত মামলায় কারাদÐের রায়ের পর পাঁচ মাস ধরে কারাবন্দি খালেদা জিয়া ইতোমধ্যে ওই মামলায় সবোর্চ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। কিন্তু আরও বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় তার মুক্তি আটকে আছে। জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ধমীর্য় অনুভূতিতে আঘাত, উসকানিমূলক ও মানহানিকর বক্তব্য দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে কয়েকটি মামলা করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে এ মামলাটি তিনি দায়ের করেন ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি। মামলার আরজিতে বলা হয়, ‘২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা চান নাই। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব। জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ায় এদেশের জনগণ যুদ্ধে নেমেছিল।’ ‘খালেদা ওই অনুষ্ঠানে বলেন, বতর্মান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের নামে চলছে দুনীির্ত ও লুটপাট। দলীয় লোকদের জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে, ধমীর্য় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট ও হত্যা করছে। পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিরোধীদলসহ ভালো ভালো লোককে গ্রেপ্তার করে গুম করছে ও হত্যা করছে।’ এসব বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে ‘অসত্য তথ্য দিয়ে মানহানি করা হয়েছে’ বলে অভিযোগ করা হয় মামলার আরজিতে। ঢাকার মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সে সময় অভিযোগটি সরাসরি মামলা হিসবে না নিয়ে শাহবাগ থানা পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় শাহবাগ থানার পরিদশর্ক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস গত ৩০ জুন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। সেখানে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা বলা হয়।