ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সচেতনতাই মুখ্য

প্রকাশ | ০১ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ডায়াবেটিস রোগ একটি নীরব ঘাতক। সচেতনতা না বাড়ালে বিপুল পরিমাণ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী নিয়ে দেশকে অনেক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস উপলক্ষে বারডেম অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ডায়াবেটিসের মতো নীরব ঘাতক রোধ করতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। বারডেম এখন জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানকে অনুসরণ করে অনেক বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তবে নিম্নআয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য আরও এগিয়ে আসতে হবে বারডেমকে। এ সময় বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক সমিতির তথ্য মতে, বাংলাদেশে এ রোগে আক্রান্ত ৭৩ লাখ মানুষ। আর সমিতির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ৪৫ লাখ। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ রোগীর ধারণা থাকে না এ রোগ সম্পর্কে। দেশে প্রতিবছর ৫ লাখ নতুন রোগী ডায়াবেটিক সমিতির সেবা কেন্দ্রগুলোতে নিবন্ধন করছে। সচেতনতা না বাড়ালে এই রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়াতে পারে। তিনি আরও বলেন, এবারের ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় রাখা হয়েছে 'উন্নত ডায়াবেটিসসেবা পেতে আজই ডিজিটাল নিবন্ধন করুন'। ডিজিটাল নিবন্ধনের ফলে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাবে এবং মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতাও বাড়বে। আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বেড়ে চলছে। সারাদেশে ৪৩৮টি সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে রোগীদের একই মানের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে ডায়াবেটিক সমিতি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, খুব শিগগিরই ন্যাশনাল হেলথ রেকর্ড চালু হবে। ডায়াবেটিক সমিতির ডিজিটাল নিবন্ধনের ফলে এর সঙ্গে সরকারও একযোগে কাজ করার সুযোগ পাবে। অনুষ্ঠানে 'উন্নত ডায়াবেটিসসেবা পেতে আজই ডিজিটাল নিবন্ধন করুন'- এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ফারুক পাঠান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, বারডেমের মহাপরিচালক অধ্যাপক জাফর আহমেদ লতিফসহ প্রমুখ্য। সবশেষে ১০ জন আদর্শ ডায়াবেটিক রোগীদের অভিনন্দনপত্র ও ক্রেস্ট দেয়া হয়।