এমরানের মার্কিন দূতাবাসে যাওয়া পূর্বপরিকল্পিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের (ডিএজি) পদ হারানো এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার মার্কিন দূতাবাসে যাওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেছেন, 'আমেরিকান অ্যাম্বাসিতে তাকে (এমরান) জায়গা দেওয়াটা ঠিক হয়নি। তার পরিবার, বাচ্চাসহ সেখানে গেছে, কেন? এটি একেবারে পূর্বপরিকল্পিত ছিল, তা প্রমাণ হয়েছে।' সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে অবস্থিত উত্তর হলে সোমবার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির এসব কথা বলেন। 'ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবিতে বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রেরিত খোলাচিঠির প্রতিবাদে' সুপ্রিম কোর্টের ৫১০ আইনজীবীর বিবৃতির বিষয়ে জানাতে ওই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে ৪ সেপ্টেম্বর বক্তব্য দেন এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া। হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, ডক্টর ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটি বিচারিক হয়রানি।' রাষ্ট্রের একজন আইন কর্মকর্তার এমন বক্তব্য রাজনৈতিক ও আইন অঙ্গনে সমালোচনা তৈরি করে। এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে ৭ সেপ্টেম্বর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরদিন বিকালে এমরান স্ত্রী-সন্তানসহ মার্কিন দূতাবাসে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশের নিরাপত্তায় এমরান পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দূতাবাস ছেড়ে যান। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, যে বিবৃতি উনি (এমরান) দিয়েছেন, এটি পুরোপুরি আইনের লঙ্ঘন। উনি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে থেকে এ ধরনের বিবৃতি দিতে পারেন না। তার উদ্দেশ্যটা খারাপ ছিল। বিতর্ক সৃষ্টি করার জন্য এটি করেছেন।' এমরান মার্কিন দূতাবাসে নিজ উদ্যোগেই গিয়েছিলেন উলেস্নখ করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, 'তার (এমরান) উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য ওখানে গিয়েছিলেন। কারও চাপে বা কারও কারণে গেছেন, এখন পর্যন্ত শোনা যায়নি।'