চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব ঘাটতি ৪ হাজার ৮৭ কোটি টাকা। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ১৮০০ কোটি টাকার বেশি। যতই সময় গড়াচ্ছে ঘাটতি বাড়ছে।
অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৭ কোটি টাকা। এই দুই মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০ হাজার ৩২১ কোটি টাকা, এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪৬ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা। যদিও এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ৪০ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে ঘাটতি বাড়তে থাকলে বরাবরের মতো এবারও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে না এনবিআর।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব এসেছে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট থেকে। যদিও ভ্যাট ও আয়কর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে
ভ্যাট থেকে রাজস্ব বেড়েছে। আর রিটার্ন দাখিলের সময় ঘনিয়ে আসায় আয়কর থেকে অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা।
জুলাই ও আগস্টে ১ হাজার ১৪৪ কোটি টাকার ভ্যাট কম আদায় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে। এই দুই মাসে ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ৮৫ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ১৭ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের আলোচ্য সময়ে ভ্যাট থেকে আয় হয়েছিল ১৫ হাজার ৩৩ কোটি টাকা।
জুলাই ও আগস্টে ২ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকার আয়কর ও ভ্রমণকর কম আদায় হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা এর চেয়ে বেশি। এই দুই মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ৫৯ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের আলোচ্য সময়ে ভ্যাট থেকে আয় হয়েছিল ১০ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা।
তবে ডলার সংকটের মধ্যেও আমদানি ও রপ্তানি থেকে শুল্ক আদায় বেড়েছে। এমনকি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪.৬২ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ১৬ হাজার ১৯২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের আলোচ্য সময়ে এই খাত থেকে ১৪ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকার রাজস্ব এসেছিল। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আমদানি ও রপ্তানি থেকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
