অক্টোবর আসবে-যাবে, বিএনপির স্বপ্ন পূরণ হবে না :কাদের
প্রকাশ | ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, '৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামেও ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন অক্টোবর মাসের মধ্যে সরকার পতনের কথা বলে। গত ১৫ বছরে অনেক অক্টোবর এসেছে। অক্টোবর আসবে-যাবে। বিএনপির সরকার পতনের স্বপ্ন পূরণ হবে না।'
রোববার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ঢাকার পার্শ্ববর্তী সব জেলা মহানগর এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'গত ১৫ বছরে অনেকবার বিএনপির হাঁকডাক শোনা হয়েছে। বিএনপির বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের নির্বাচনে আসন নিয়ে তিরস্কার করে সমালোচনা করেছিল, যা ছিল বিএনপির অহংকার ও দম্ভ। যারা আওয়ামী লীগের পতন দেখছে তাদের নিজেদের পতন হয় কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।'
তিনি বলেন, 'লন্ডন থেকে বসে বসে রাজনীতির কলকব্জা নাড়া দিচ্ছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন তাদের সহ্য হয় না। এক এগারো ও ২০০১ সালের মতো অস্বাভাবিক সরকার তৈরি করার সুগভীর ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। তাদের একমাত্র টার্গেট হচ্ছে শেখ হাসিনাকে হটানো।'
খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে দেশের প্রচলিত আইন, সংবিধান ও ফৌজদারি কার্যবিধি মেনে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেতে হবে উলেস্নখ করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'তার বিষয়ে সকল সিদ্ধান্ত আইনসম্মতভাবেই হবে।'
তিনি বলেন, 'একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে তা মানবিকতার দৃষ্টান্তে পৃথিবীতে বিরল। যারা জাতির পিতার হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার হত্যার পরিকল্পনাকারী, তাদের প্রতি আওয়ামী লীগের উচিত ছিল তেমন ব্যবহার দেওয়া।'
অক্টোবরে নতুন ৫ কর্মসূচি
'প্রধানমন্ত্রী বিদেশে থেকেও মূল্যবান কিছু পরামর্শ দিয়েছেন' জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'সেসব বিষয়ে আলোচনা করতেই এই সভা। আগামী ৪ অক্টোবর দুপুরে তিনি দেশে ফিরবেন। রাস্তা বন্ধ করে কিংবা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী পছন্দ করেন না। এজন্য তাকে কোনো সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে না।'
অক্টোবরে মাসব্যাপী দলের কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি জানান, '৩ অক্টোবর সাভারের আমিন বাজারে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। ৭ অক্টোবর বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ উপলক্ষে ওইদিন সেখানে জনসভা হবে। ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতুর রেল সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। মাওয়াপ্রান্তে সুধী সমাবেশ হবে। ভাঙ্গায় জনসভার প্রস্তাব আছে। ২৩ অক্টোবর আগারগাঁও-মতিঝিল মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে শাপলা চত্বরে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জনসভা এবং ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে সেখানে সুধী সমাবেশ হবে।'
অনুষ্ঠানে তিনি দলীয় নেতাদের বেফাঁস কথা বলা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে বক্তৃতা-বিবৃতিতে বেফাঁস কথা না বলার পরামর্শও দেন। এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের বিলবোর্ড কিংবা পোস্টার ফেস্টুন করে প্রচারণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার
এদিকে, রোববার সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরি সাক্ষাৎ করতে যান। এ সময় তিনি 'সংবিধান অনুযায়ী সরকার দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন।'
ওবায়দুল কাদের জাপানের রাষ্ট্রদূতকে জানান, 'জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির প্রথম বৈঠক এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।'
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে জাপানের সহায়তায় চলমান প্রকল্পের অগ্রগতিসহ দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও কীভাবে জোরদার করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়।