২০০৮ পযর্ন্তও বিশ্বাস হয়নি যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৮ সাল পযর্ন্ত আমরা বিশ্বাসই করতে পারিনি এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব। শুধু তাই নয়, যারা এই বিচারের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের ৯৫ শতাংশও বিশ্বাস করেননি, এটা সম্ভব হবে। এই অবিশ্বাসের কারণ হলো ’৭৫ সালের রাজনৈতিক দুযোের্গর পর রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধীদের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে অন্ধকারের আস্তাকুঁড় থেকে এনে পুনবাির্সত এবং মহিমান্বিত করা হয়েছে।’ মঙ্গলবার ইকোনমিক রিপোটার্সর্ ফোরামের (ইআরএফ) টেলিফোন নিদের্শনাবিষয়ক প্রকাশনা, ওয়েবসাইট উদ্বোধন ও লেখক সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘৭৫ সালের পর ধীরে ধীরে রাজাকার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহাবস্থানের একটি বদঅভ্যাস তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেই বদঅভ্যাস এখনো আছে কিন্তু। সেখান থেকে আমরা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। পাকিস্তানপন্থার সঙ্গে বাংলাদেশপন্থার মতো সহাবস্থানের বদঅভ্যাসের মধ্যেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে ফঁাসি ও সাজা দেয়া কেউ বিশ্বাস করেনি।’ তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের সংসদ নিবার্চনের আগে ভোট চাওয়ার সময় আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার প্রতিশ্রæতি দিচ্ছিলাম। তখন আমাদের সহকমীর্রা মুখ চাপার চেষ্টা করেছেন। জয় বাংলা বইলেন না, তাহলে ভোট হবে না। এটা বলার দরকার নাই। জামায়াত-মোল্লারা রাগ করবে। কিন্তু আমরা সব সম্ভব করেছি।’ অনুষ্ঠানে ইআরএফের ওয়েবসাইট উদ্বোধন এবং সংগঠনের লেখক সদস্যদের সম্মাননাসূচক উত্তরীয় পরিয়ে ক্রেস্ট তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইআরএফের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল আইয়ের রিজভী নেওয়াজ, সভাপতির বক্তব্য দেন সাইফ ইসলাম দিলাল। অনুষ্ঠানে ইআরএফের সদস্য ১৭ লেখককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে থেকে সম্মাননা গ্রহণের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সিনিয়র সাংবাদিক সামসুল আলম বেলাল, জাকারিয়া কাজল, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, জীবন ইসলাম, কাওসার রহমান প্রমুখ।