বিসিকের মহাব্যবস্থাপক এক সপ্তাহ ধরে নিখেঁাজ

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মো. শরীফুল ইসলাম ভ‚ঞা
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন- বিসিকের একজন মহাব্যবস্থাপক এক সপ্তাহ ধরে ‘নিখেঁাজ’ জানিয়ে থানায় জিডি করেছে তার পরিবার। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, গত ৯ জুলাই সকালে শন্তিনগরের বাসা থেকে বের হন বিসিকের সম্প্রসারণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (সম্প্রসারণ) মো. শরীফুল ইসলাম ভ‚ঞা। এরপর থেকে তার কোনো খেঁাজ পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ এসেছে আমাদের কাছে। আমরা চেষ্টা করে দেখছি। পুলিশের সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটকে সতকর্ করে দেয়া হয়েছে। দেড় মাস আগেও একবার নিখেঁাজ হয়েছিলেন শরীফুল। পরে তাকে বরিশালে পাওয়া গিয়েছিল বলে পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে। শরীফুলের স্ত্রী লায়লা জেসমিনও বিসিকের কমর্কতার্। সাধারণত তারা একসঙ্গেই প্রতিদিন অফিসে যেতেন। লায়লার ভাই আলী আহমেদ বলেন, গত ৯ জুলাই সকালে অফিস যাওয়া আগে পেটের সমস্যার কথা বলে বাসায় থেকে যান তার ভগ্নিপতি। স্ত্রীকে তিনি বলেন, ডাক্তার দেখিয়ে পরে অফিস যাবেন। লায়লা জেসমিন তখন একাই অফিস চলে চান। কিন্তু শরীফুল আর অফিসে না যাওয়ায় তাকে ফোন করেন লায়লা। বারবার রিং বাজার পরও না ধরায় তার মনে সন্দেহ জাগে। তিনি বাসায় এসে দেখেন তার স্বামীর মোবাইল, মনিব্যাগ সব ঘরেই আছে; কিন্তু তিনি নেই। আলী আহমেদ বলেন, পরে তারা ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে পরীক্ষা করে দেখেছেন। সেদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শরীফুল ইসলামকে সাধারণ পোশাকে বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় ওই ভিডিওতে। তিনি বলেন, আমরা নানা জায়গায় খেঁাজ করে দেখেছি, উনার কোনো খবর পাইনি। উনি ডায়াবেটিসের রোগী। প্রায় এক বছর আগে উনার বাবা মারা গেছেন। একমাত্র মেয়ে লেখাপড়া করতে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার পর থেকেই তিনি কিছুটা মনমরা থাকতেন। আলী আহমেদ জানান, শরীফুল-লায়লা দম্পতির মেয়ে লেখাপড়া করেছেন বুয়েটে। তার স্বামীও বুয়েট থেকে পাস করেছেন। বিয়ের পরপরই তারা এমএস করতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। শরীফুল গত রোজায় কাউকে কিছু না জানিয়ে একবার বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন জানিয়ে আলী আহমেদ বলেন, পরদিন তাকে অসুস্থ অবস্থায় বরিশাল বাসস্ট্যান্ডে পায় পুলিশ। বিসিকের একজন কমর্কতার্ তাকে সেখানে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, আরও একবার তার নিখেঁাজ হওয়ার রেকডর্ যেহেতু আছে, এ বিষয়টি আমরা তদন্তের স্বাথের্ রাখছি।