স্থানীয় সরকারের পদ ছাড়লেন ৪৭ জন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে স্থানীয় সরকারের পদে থাকা ৪৭ জন পদত্যাগ করেছেন। এদের মধ্যে ৪৩ জন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। বাকি চার জনের ৩ জন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং একজন সদস্য। বুধবার বিকাল পর্যন্ত এদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ পদ শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, সরকারের লাভজনক পদে থেকে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়া যায় না। আইন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধির পদগুলো লাভজনক। ফলে পদত্যাগ না করে কারও পক্ষে ভোটে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। বুধবার বিকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১১ জন, ঢাকা বিভাগে ১০ জন, রাজশাহী বিভাগের ৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫, খুলনা ও রংপুর বিভাগে ৪ জন করে, সিলেট বিভাগে ২ জন এবং বরিশাল বিভাগে একজন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও যশোর জেলা পরিষদের একজন সদস্য পদ ছেড়েছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মো. মাসুম পাটওয়ারী বুধবার একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে পদ শূন্য দেখিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যেসব উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্যানেল-১ এর দায়িত্ব আছেন তারা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকবেন। আর যেসব উপজেলায় প্যানেল করা নেই সেখানে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।' ঢাকা বিভাগে যারা পদত্যাগ করেছেন, তাদের মধ্যে ধামরাই উপজেলার মো. মোহাদ্দেছ হোসেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মো. শাহজাহান ভূঁইয়া, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মহিউদ্দিন আহমেদ ও মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার মুশফিকুর রহমান খান, টাঙ্গাইলের গোপালপুরের মো. ইউনুস ইসলাম তালুকদার ও মির্জাপুরের মীর এনায়েত হোসেন মন্টু। এছাড়া গোপালগঞ্জের মকসুদপুর উপজেলার মো. কাবির মিয়া; রাজবাড়ীর সদর উপজেলার মো. ইমদাদুল হক বিশ্বাস; নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার মো. সাইফুল ইসলাম খান বীরু; কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার মো. নাসিরুল ইসলাম খান; চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের এসএম আল মামুন, সাতকানিয়ার আব্দুল মোতালেব, পটিয়ার মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এবং চন্দনাইশের মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী; কুমিলস্নার দেবিদ্বারের মো. আবুল কালাম আজাদ ও চৌদ্দগ্রামের আবদুস ছোবহান ভূঁইয়া; চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ও হাজিগঞ্জের গাজী মাঈনুদ্দিন; কক্সবাজারের মহেশখালীর মোহাম্মদ শরীফ বাদশা ও রামুর সোহেল সরওয়ার কাজল; ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ফিরোজুর রহমান; সিরাজগঞ্জের উলস্নাপাড়ার মো. শফিকুল ইসলাম ও বেলকুচির মো. নুরুল ইসলাম সাজেদুল; বগুড়ার শেরপুরের মজিবুর রহমান মজনু ও আদমদীঘির মো. সিরাজুল ইসলাম খান রাজু; চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম; পাবনার চাটমোহরের মো. আব্দুল হামিদ; ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মো. আলী আসলাম; নীলফামারীর সৈয়দপুরের মো. মোখলেছেদুল মোমিন; রংপুরের মিঠাপুকুরের মো. জাকির হোসেন সরকার ও গাইবান্ধার সদর উপজেলার শাহ সারোয়ার কবীর। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার মো. আব্দুল হাই আকন্দ ও ঈশ্বরগঞ্জের মাহমুদ হাসান সুমন; শেরপুরের শ্রীবরদীর এডিএম শহিদুল ইসলাম ও ঝিনাইগাতীর এসএম আব্দুলস্নাহেল ওয়ারেজ নাইম ও নেত্রকোনার দুর্গাপূর উপজেলার জান্নাতুল ফেরদৌস। খুলনা বিভাগের মেহেরপুর সদর উপজেলার মো. ইয়ারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদরের মো. আসাদুজ্জামান বাবু ও শ্যামনগর উপজেলার এসএম আতাউল হক, কুষ্টিয়ার মিরপুরের মো. কামারুল আরেফিন; সিলেট বিভাগে সুনামগঞ্জের শালস্নার চৌধুরী আবদুলস্নাহ আল মাহমুদ ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার একেএম শফি আহমদ (সলমান); বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামসুল আলম পদত্যাগ করেছেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মধ্যে কুড়িগ্রামের মো. জাফর আলী, লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী এবং যশোর জেলা পরিষদের সদস্য মো. আজিজুল ইসলাম পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে পদ শূন্য দেখিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।