২৪ ঘণ্টায় সাত শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা

মৃতু্য উপত্যকা গাজা চিকিৎসা না পেয়ে আহতদের মৃতু্য এখন পর্যন্ত বাস্তুচু্যত ১৫ লাখ মানুষ

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত বোমাবর্ষণে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রোববার গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারের মুখপাত্র আলজাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচু্যত হয়ে পড়েছেন। এদিকে, যুদ্ধবিরতির পর তিন দিন ধরে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরাইলের হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরাইলের নির্বিচার হামলার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না দক্ষিণ গাজার মানুষও। হামলা জোরদার করার জন্য খান ইউনিসের পার্শ্ববর্তী কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলের বাসিন্দাদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। সেখানে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার পরিচালক থমাস হোয়াইট বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে হেপাটাইটিসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এদিকে দখল করা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের কালকিলিয়া শহরে অভিযান চালিয়ে ২১ বছর বয়সি এক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। ফিলিস্তিনের প্রিজনারস সোসাইটি জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এ সময় তারা অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে। চিকিৎসা না পেয়ে আহতদের মৃতু্য :গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ২০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের ৭০ ভাগই নারী ও শিশু। ইসরাইলি হামলায় গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বেশিরভাগ হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি হাসপাতালগুলোতে মেঝেতে রেখেও আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা না পেয়ে আহতদের বড় একটি অংশ মারা যাচ্ছেন। সমঝোতা থেকে সরে গেছে ইসরাইল এদিকে, যুদ্ধবিরতিতে শুরু থেকে আগ্রহ ছিল না ইসরাইলের। দেশটি যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ের আলোচনা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আলোচনায় 'অচলাবস্থার' কথা জানিয়ে কাতারের দোহা থেকে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রতিনিধি দলকে দেশে ফিরতে বলা হয়েছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া সংস্থাটির প্রতিনিধি দলকে ইসরাইলে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, হামাস চুক্তির নিজেদের অংশ পালন করেনি। চুক্তি অনুযায়ী শিশু ও নারীদের মুক্তি দেওয়ার কথা। এ নিয়ে হামাসের কাছে একটি তালিকা পাঠানো হয়েছিল এবং তারা সেটি অনুমোদনও করেছিল। তবে সমঝোতা না হওয়ার জন্য ইসরাইকে দায়ী করেছে হামাস। তারা বলছে, ইসরাইলের পক্ষ থেকে জিম্মি নারী সেনাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে একটি তালিকা দেওয়া হয়। বয়স্ক বন্দিবিনিময়ে দেশটি রাজি হয়নি।