চট্টগ্রাম বিভাগের ৫ জেলায় পরিবহন ধমর্ঘটের ডাক

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
চঁাদাবাজদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা এবং অবিলম্বে মেক্সিমা, মাহেন্দ্রা, পিয়াজো ও এইচ পাওয়ার গাড়ির রুট পারমিট প্রদান করাসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভাগের পাঁচ জেলায় পরিবহন ধমর্ঘটের ডাক দিয়েছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটি। বুধবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ধমর্ঘটের ঘোষণা দিয়ে এই কমর্সূচি পালনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন শ্রমিক নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১১ দফা দাবি মেনে নেয়া না হলে আগামী ২২ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পযর্ন্ত ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভাগের পাঁচ জেলাÑ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করবে না। সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছা লিখিত বক্তব্যে বলেন, সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা বতর্মানে নানামুখী চরম হয়রানি ও নিযার্তনের শিকার হচ্ছে। রেজিস্ট্রেশনবিহীন, শ্রমিকবিহীন, প্যাড সবর্স্থ সংগঠনের ব্যানারে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা। এ কারণে ধমর্ঘটের মতো কঠোর কমর্সূচি দিতে বাধ্য হয়েছেন তারা। শ্রমিক সংগঠনটির ১১ দফার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হচ্ছেÑ পরিবহন সেক্টরে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা, অবিলম্বে মেক্সিমা, মাহেন্দ্রা, পিয়াজো ও এইচ পাওয়ার গাড়ির রুট পারমিট প্রদান করা, চট্টগ্রাম অটোরিকশা অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়ন সদস্যদের অনুকূলে মহানগরী এলাকায় চার হাজার সিএনজি অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশন প্রদান, চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী গাড়ি ও পণ্যবাহী গাড়ির জন্য টামির্নাল নিমার্ণ এবং পাকির্ং স্পট নিধার্রণ না হওয়া পযর্ন্ত পাকির্ং মামলা না দেয়া, আন্তঃজেলা রুটের মাঝপথে কোনো গাড়ি রিকুইজিশন না করা ইত্যাদি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম পূবার্ঞ্চল কমিটির সভাপতি মৃণাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি হাজী রুহুল আমিন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. মুছা, কাযর্করী সভাপতি রবিউল মাওলা, সাধারণ সম্পাদক অলি আহাম্মদ, ফেডারেশন নেতা ইমাম শরিফ চৌধুরী, মো. শফি প্রমুখ।