পদ্মা সেতুর অষ্টম স্প্যান বসেছে জাজিরা প্রান্তে

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলারের ওপর শুক্রবার বসানো হয়েছে আরেকটি স্প্যান। এ যাবত ৯টি স্প্যান বসানোর ফলে দৃশ্যমান হলো সেতুর ১ হাজার ৩৫০ মিটার -যাযাদি
শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে অষ্টম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ১৩৫০ মিটার অংশ দৃশ্যমান হয়েছে। সেতু বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ূন কবীর জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মাসেতুর ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিয়ারের উপর স্প্যানটি বসানো হয়। তিনি বলেন, 'এ মাসের মধ্যে আরও স্প্যান বসানো হবে বলে আশা করছি। ইত্যেমধ্যে সেতুর প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে সবকটি স্প্যান বসিয়ে সেতু দৃশ্যমান করা হবে।' সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা জানান, বুধবার সকালে মাওয়ার মুন্সীগঞ্জের কুমারভোগ থেকে স্প্যানটি নিয়ে একটি শক্তিশালী ক্রেন জাজিরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে বিকালে পৌঁছায়। বৃহস্পতিবার স্প্যানটি বসানোর জন্য শ্রমিকরা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কাজ করলেও কারিগরি ত্রম্নটির কারণে শেষ পর্যন্ত স্প্যানটি পিলারের ওপর তোলা সম্ভব হয়নি। হুমায়ূন জানান, ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান এবং ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যান বসানো হয়। ওই বছরের ১০ মার্চ তৃতীয়, ১৩ এপ্রিল চতুর্থ এবং ২৯ জুন বসে পঞ্চম স্প্যান।আর ২০১৯ সালে ২৩ জানুয়ারি ষষ্ঠ এবং ২০ ফেব্রম্নয়ারি সপ্তম স্প্যান বসানো হয়। এ ছাড়া মাওয়া পয়েন্টে গত বছরে আরও একটি স্প্যান ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয়েছে বলে জানান এ প্রকৌশলী। তিনি বলেন, 'ওই স্প্যাপনটি তৈরি করা হয়েছে ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের ওপর বসানোর জন্য। নকশা জটিলতা ও পিলার তৈরি না হওয়ায় এবং ওয়ার্কশপে জায়গা না থাকায় অস্থায়ীভাবে ৪ ও ৫ নম্বার পিলারে তুলে রাখা হয়েছে।' নকশা জটিলতা কেটে যাওয়ার পর ৬ ও ৭ নম্বর পিলার তৈরি হলে স্প্যানটি সেখানে সরিয়ে নেয়া হবে। সেতু বিভাগ জানায়, প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার; ৪২টি পিলারের উপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ২১ টি পিলার এরই মধ্যে দৃশমান হয়েছে। এদিকে অষ্টম স্প্যানটি বসানোর খবরে আনন্দ প্রকাশ করেছে পদ্মা পাড়ের মানুষ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রায় সাত কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে এ সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে। জাজিরা পূর্বনাওডোবা এলাকার আতাউর রহমান বলেন, 'স্বপ্নের পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে আমাদের বাপ দাদার জমি-জমা দিয়েছি। এ সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়; এটা বাস্তবে রুপ নিচ্ছে। এতে আমরা খুশি ও আনন্দিত। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।'