নিউজিল্যান্ডেই শায়িত হলেন ড. আব্দুস সামাদ

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ড. আব্দুস সামাদ
গত শুক্রবার মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় গুলিতে নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ পর কুড়িগ্রামের কৃতী সন্তান ড. আব্দুস সামাদকে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মুসলিমদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর নিউজিল্যান্ডের হ্যাগলি পার্কে ড. আব্দুস সামাদসহ দুই মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৪০ মুসলমানের গণজানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ ওই কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় গণজানাজায় নিহতদের পরিবারের সদস্যসহ হাজারো মানুষ অংশ নেয়। নিহত ড. আব্দুস সামাদের ঢাকায় বসবাসরত বড় ছেলে তোহান মোহাম্মদ শুক্রবার দুপুরে মোবাইল ফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিউজিল্যান্ডে ছবি তোলা ও ভিডিও না করার শর্তে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ৪টায়) মাত্র দু'ঘণ্টার জন্য মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। পরে গোসলসহ ধর্মীয় কার্যাদি সম্পন্নের পর পুনরায় মরদেহ নিজেদের জিম্মায় নেয় নিউজিল্যান্ডের পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে শুক্রবার নিউজিল্যান্ডে জুমার নামাজের পর হ্যাগলি পার্কে জানাজা শেষে দুপুর ২টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়) ক্রাইস্টচার্চে মুসলমানদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানে তার বাবাসহ (ড. আব্দুস সামাদ) বাকি মরদেহগুলো দাফন করা হয়। তিনি আরও জানান, নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত তার মা কেশোয়ারা সুলতানা ও ছোট দুই ভাই তারেক ও তানভীর এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেই বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় গত ১৫ মার্চ দুপুর দেড়টায় ক্রাইস্টচার্চ শহরের হ্যাগলি পার্কমুখী সড়ক দীন এভিনিউয়ের 'আল নুর' মসজিদে ও 'লিংউড' মসজিদ দুটিতে সন্ত্রাসী হামলা চালায় ব্রেনটন ট্যারান্ট। এতে অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিহত হন নিউজিল্যান্ডে নাগরিকত্ব নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিদ ও ক্রাইস্টচার্চ শহরের হ্যাগলি পার্কমুখী সড়ক দীন এভিনিউতে 'মসজিদে নুর'র মোয়াজ্জিন ড. আব্দুস সামাদ। এ হামলার এক সপ্তাহ পর শুক্রবার নিহতদের মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়। নিহত মুসলিস্নদের প্রতি শ্রদ্ধা ও নিউজিল্যান্ডের মুসলিমদের প্রতি সংহতি জানাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করার মাধ্যম হ্যাগলি পার্কে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে দুই মিনিট নীরবতা পালন ও জুমার নামাজের আজান রেডিও ও টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করে দেশটি।