শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষক আন্দোলন এক মাস স্থগিত

প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রোববার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন -আমিনুল ইসলাম শাহীন
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা ৫ দিনের অবস্থান শেষে রোববার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনির আশ্বাসে রাস্তা ছেড়েছেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে শিক্ষক নেতারা আলোচনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দিনক্ষণ ঠিক করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া আসছে বাজেট থেকে নীতিমালার আওতায় যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও পাওয়ার যোগ্য তাদেরকে এমপিওভুক্ত করা হবে বলেও মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। তবে যারা নীতিমালার আওতায় আসবে না তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি শিক্ষামন্ত্রী। সরকারিভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না আসলে সোমবার থেকে অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দেন নন-এমপিও শিক্ষকরা। তাদের ওই ঘোষণার পর বিকাল ৪টায় শিক্ষামন্ত্রী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী শিক্ষকদের সামনে বক্তব্য দেন। এবং পরে শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপের পর নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদন্নবী ডলার যায়যায়দিনকে জানান, 'আমরা আমাদের সমস্যার বিষয়টি নিজেরা প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে চাই। এ কারণে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ চেয়েছিলাম। মন্ত্রী আমাদের সোমবার সচিবালয়ে ডেকেছেন। সেখানে বসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কবে দেখা করাবেন তার তারিখ নির্ধারণের বিষয় ঠিক করার কথা বলেছেন। এ কারণে আমরা আমাদের অবস্থান এক মাসের জন্য স্থগিত করেছি।' আন্দোলনে থাকা খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ড. এস কে বাকার কলেজের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষক নেতা শুভঙ্কর মজুমদার যায়যায়দিনকে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি আমাদের প্রধান দাবি ছিল। সচিবালয়ে গিয়ে সে বিষয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া মন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন নীতিমালার শর্তের আলোকে যে যাচাই বাছাই চলছে তা মাস খানেকের মধ্যে শেষ হবে। আসছে বাজেট থেকে তা কার্যকর হবে বলে মন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নীতিমালার আওতায় আসবে না তাদের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত জানাননি মন্ত্রী।' শিক্ষক নেতারা দাবি করে আসছেন, তারা শিক্ষকতা শুরু করেছেন ২০ বছর বা তারো আগে। এ কারণে তাদের এমপিওভুক্তিও করতে হবে ২০ বছর আগের নীতিমালাতেই। বর্তমানের নীতিমালা অনেক কঠোর করে প্রণীত। এ কারণে তারা ওই নীতিমালার শর্ত শিতিলের দাবি করে আসছেন। এর আগে গত বছর নির্বাচনের আগ মুহূর্তেও টানা একমাস শিক্ষকরা রাস্তায় অবস্থান নেন। সে সময় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষকদের আশ্বাস দেন আসছে বাজেট থেকে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে। কিন্তু এ মাসের শুরুতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি নাকচ হয়ে গেলে আবারও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বসেন শিক্ষকরা। এর পর গতকাল শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের আশ্বাস্ত করলে এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দিনক্ষণ ঠিক করতে শিক্ষকদের মন্ত্রণালয়ে ডাকলে তারা আবারও এক মাসের জন্য তাদের আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিলেন।