রওশন এরশাদকে বিরোধী উপনেতা করে প্রজ্ঞাপন

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় সংসদ। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ স্বাক্ষরিত চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতার স্বীকৃতি দিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। রোববার এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও সোমবার তা প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, 'জাতীয় সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চসংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমপির (রংপুর-৩) ২৩ শে মার্চ তারিখে পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের (লালমনিরহাট-৩) পরিবর্তে ময়মনসিংহ-৪ হতে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বেগম রওশন এরশাদকে 'বিরোধীদলীয় উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯' মোতাবেক জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে স্পিকার স্বীকৃতি দান করিলেন।' প্রসঙ্গত, এর আগে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতার পদ থেকে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরকে বাদ দেন তার ভাই ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার স্থলে বিরোধীদলীয় উপনেতা হিসেবে রওশনকে দায়িত্ব দেয়ার জন্য স্পিকারের কাছে চিঠিও দেন তিনি। শনিবার এক সাংগঠনিক নির্দেশে সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতার পদ থেকে তাকে অপসারণ করা হয়। সাংগঠনিক নির্দেশে বলা হয়, 'জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা এবং পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে আমি প্রধান বিরোধী দলের উপনেতার পদ থেকে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে অপসারণ করছি। এখন প্রধান বিরোধী দলের উপনেতার পদে বেগম রওশন এরশাদকে মনোনীত করা হলো। পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণে সংসদের স্পিকারের সমীপে প্রস্তাব পেশ করা হলো।' এর আগে শুক্রবার রাতে এক সাংগঠনিক নির্দেশে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেন জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। ওই নির্দেশে তাকে দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ডেপুটি প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন জালালী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নির্দেশে আরও বলা হয়, 'কাদের পার্টি পরিচালনা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন, পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে এবং তিনি পার্টির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন। পার্টির সিনিয়র নেতারাও তার নেতৃত্বে সংগঠন করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। এমনতাবস্থায় সংগঠনের স্বার্থে পার্টির সাংগঠনিক দায়িত্ব এবং কো-চেয়াম্যানের পদ থেকে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হলো। তবে তিনি পার্টির প্রেসিডিয়াম পদে বহাল থাকবেন।'