ভোট পুনর্গণনার দাবিতে উত্তাল গোপালগঞ্জ

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ভোট পুনর্গণনার দাবিতে মঙ্গলবার সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন পরাজিত প্রার্থীর বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা -যাযাদি
উপজেলা নির্বাচনের ঘোষিত ফল বাতিল করে ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ৯ ঘণ্টা উত্তাল ছিল গোপালগঞ্জ। তবে অবরোধকারীরা পুলিশের হস্তক্ষেপে তাদের অবরোধ তুলে নেয়ার পর বেলা ৫টা থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো পরাজিত ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ সমর্থক ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করার চেষ্টা করেন। তখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অর্ধশতাধিক রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট বর্ষণ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। একই সাথে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়ক ও গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়ক অবরোধ করে রাখে পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা। এর আগে সোমবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত দুই চেয়াম্যান প্রার্থী মো. মাহমুদ হোসেন দিপু ও এসএম শাহ আলম সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান। এরপর থেকে ওইদিন রাতেই ওই দুই প্রার্থীর সমর্থকরা গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট এবং গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কে সরকারি অসংখ্য গাছ কেটে সড়কে ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। এতে ওই দুই সড়কে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে। চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার রাত থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করেন। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের বৌলতলী, কংশুর, উলপুর এবং গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কের কাঠি ও মাঝিগাতী নামক স্থানে ওই দুই প্রার্থীর সমর্থকরা অসংখ্য সরকারি গাছ কেটে সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। এখন পরিস্থিতি শান্ত। সড়কের গাছ সরানো হয়েছে। দুই সড়কেই যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি। উলেস্নখ্য, নির্বাচনে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু ৩৭ হাজার ৬৫০ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. মাহমুদ হোসেন দিপু ৩৭ হাজার ৬২০ ভোট পেয়েছেন এবং অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এস এম শাহ আলম আনারস প্রতীকে ৩৪ হাজার ৫৯৪ ভোট পেয়েছেন বলে বেসরকারিভাবে ফলাফল দেয়া হয়। গোপালগঞ্জের ৫টি উপজেলায় আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তবে নির্বাচিত সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।