উত্তরায় শিশু গৃহকর্মীর লাশ হত্যার অভিযোগে বিক্ষোভ

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকার উত্তরায় একটি বাসা থেকে এক শিশু গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে ওই বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বরের সড়কের ৫ নম্বর ভবনের ছয়তলার বাসা থেকে বৈশাখী নামের ১২ বছরের শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌসের বাসায় কাজ করত মেয়েটি। ওই বাসায় এক শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন রিফাত। পুলিশের উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনার কামরুজ্জামান বলেন, রিফাত পুলিশকে খবর দিলে বাসায় গিয়ে একটি কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে জানালায় ঝুলন্ত অবস্থায় বৈশাখীর লাশ পাওয়া যায়। রিফাত ও তার স্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, 'ছুটির দিন হওয়ায় তারা দেরি করে ঘুম থেকে উঠে দেখে, পাশের ঘরের দরজা ভেতর থেকে লাগানো এবং গৃহপরিচারিকা নেই। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় পুলিশকে খবর দেন গৃহকর্তা।' বৈশাখীর মৃতু্যর খবর ছডিয়ে পড়লে তার আত্মীয়স্বজন ছুটে আসেন। মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তারা। এলাকার লোকজনও তাদের সঙ্গে যোগ দেন, বাসার সামনে বিভিন্ন পরিত্যক্ত জিনিসপত্র জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে ওই ভবনের নিচতলা থেকে সাইকেল ও আসবাবপত্র নিয়ে আগুনে দেয়া হয়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা গেলেও সেখানে তাদের ঢুকতে দেননি বিক্ষোভকারীরা। মহিবুল নামে বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, বৈশাখী দুই মাস আগে এই বাসায় কাজ নেয়। কয়েক দিন আগে তার দাদি মারা গেলে সে গ্রামের বাড়ি নওগাঁ যায়। সোমবার ঢাকা ফিরলে তার মা তাকে ওই বাসায় পৌঁছে দেন। 'সুস্থ মেয়ে বাসায় পৌঁছে দেয়ার পর গলায় ফাঁস দিয়ে মৃতু্যর খবর কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না।' বিক্ষোভের একপর্যায়ে ওই বাড়ির দিকে ইটপাটকেল ছোড়েন বিক্ষুব্ধরা। একপর্যায়ে ধাওয়া দিয়ে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাসা থেকে মেয়েটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেয়া হয়। পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, বৈশাখীর স্বজনদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।