হজযাত্রা: এখনো সংগ্রহ হয়নি ৬৮ হাজার ভিসা

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
চলতি বছর এক লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজযাত্রী রয়েছেন। গত ১৪ জুলাই থেকে তাদের হজযাত্রা শুরু হয়েছে। এখন পযর্ন্ত সব ফ্লাইট ভালোভাবে যাত্রা করলেও ভিসার ক্ষেত্রে রয়েছে ধীরগতি। কিন্তু এজেন্সিগুলো এখন পযর্ন্ত ভিসা সংগ্রহ করেছে মাত্র ৫৮ হাজার ৬৯৬ জনের। বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সংগ্রহ হয়নি। ভিসা সংগ্রহে ধীরগতি নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। হজযাত্রার ষষ্ঠদিন বৃহস্পতিবার পযর্ন্ত ভিসা হতে বাকি রয়েছে ৬৮ হাজার ১০২ জনের। ভিসা হয়েছে মাত্র ৫৮ হাজার ১০২ জনের। তবে হজ কতৃর্পক্ষ ভিসা সংগ্রহের এই হারকে যথেষ্ট বললেও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হজযাত্রীরা। এরফান আলী নামে এক হজযাত্রী বলেন, ‘একদিন পর আমার ফ্লাইট। কিন্তু আমি এখন পযর্ন্ত ভিসা ও টিকিট পায়নি। ভিসা ও টিকিটের ব্যবস্থা আগে করলে বাড়তি দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারতাম।’ অন্যদিকে হজ কতৃর্পক্ষ ভিসা সংগ্রহের এই হারকে সন্তোষজনক বলছে। হজ ক্যাম্পের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পযর্ন্ত সমান্তরালভাবে ভিসা ও টিকিটের কাজ চলছে। আশা করি, কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।’ ভিসার ক্ষেত্রে কেন একদিন আগে সংগ্রহ করতে হবে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে ক্যাটারিং ও বাড়ি ভাড়ার বিষয়টা থাকে। এটার ব্যবস্থা না হলে এজেন্সিগুলো ভিসা সংগ্রহ করে না। তবে আমরা তাদের নোটিশ করব, তারা যেন দ্রæত বিষয়টির সমাধান করেন।’ হাবের টিকিট রিপ্লেসমেন্টের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের বিষয়। এ বিষয়ে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আদেশ আসে আমি সেটার বাস্তবায়ন করব। তবে কোনো এজেন্সি যদি ২৫০টির মধ্যে ২৪০টি টিকিট সংগ্রহ করে, তবে তারা ১০টি টিকিট রিপ্লেসমেন্ট করতে পারে বা আবদার করতে পারে। রিপ্লেসমেন্ট ব্যবস্থা ভালো না খারাপ সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। তবে আগস্টে আমরা বলতে পারব কি হবে। গতবার সমান্যসংখ্যক যাত্রী হজে যেতে পারেনি, এবার সেটা হবে না।’ হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, ‘আমাদের এজেন্সিগুলোর মধ্যে সবাই চেষ্টা করছে দ্রæত সময়ের মধ্যে ভিসা ও টিকিটের ব্যবস্থা করতে। তারা এটার ব্যবস্থাও করছে। তারা হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পাঠানো শুরু করেছে। কোনো এজেন্সি যদি কোনো যাত্রীকে না নিতে পারে, এর দায়ভার এজেন্সির। ওই এজেন্সির বিরুদ্ধে হাব কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’