রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আহŸান

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহŸান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গানার উইগান্ড এ কথা বলেন। বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন জোটটির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গানার উইগান্ড। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বেগ রয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তাও করে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহŸান জানান গানার উইগান্ড। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নিবার্চন হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে গানার উইগান্ড বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা সব সময় বৈধ অভিবাসনকে স্বাগত জানাই। পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এটা তাদের সঙ্গে একটি নিয়মিত বৈঠক বলেও জানান তিনি। সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় উভয়পক্ষের মধ্যে এই বৈঠক শুরু হয়। পৌনে ২টা পযর্ন্ত এই বৈঠক চলে। বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে মানবাধিকার, শ্রমিক অধিকার, পোশাক শিল্প পরিস্থিতি এবং ইউরোপে অবৈধ অভিবাসী নিয়ে আলোচনা হয়। আর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরো সহযোগিতা, ইউরোপে পোশাক শিল্প রপ্তানিসহ বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। ২০১৬ সালের এপ্রিলে ঢাকায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দ্বিতীয় বৈঠকটি হয় গত বছরের ১৫ ফেব্রæয়ারি ব্রাসেলসসে। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক।