সবকিছুতেই ফেল করেছে বিএনপি :স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আন্দোলনসহ সবকিছুতেই ফেল করেছে বিএনপি। আর এখন তারা উল্টো কথা বলছে। তারা বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। আমাদের নিয়ে কত কিছু করার জন্য কত দেশের হাতে-পায়ে ধরল! সবকিছুতে ফেল করে তারা এখন আবার উল্টো সুরে কথা বলছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অনেকের ধারণা ছিল নির্বাচনের পর বিদেশিদের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কে ভাটা পড়বে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীন দেশ। বঙ্গবন্ধুর নীতি 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রম্নতা নয়' আমরা ফলো করছি। আমরা মনে করি, সবাই আমাদের বন্ধু। কেউ যদি অন্য কিছু মনে করেন সেটা সম্পর্কে আমাদের কিছু বলার নেই।
সরকার কূটনৈতিকভাবে কোনো চাপে নেই- উলেস্নখ করে তিনি বলেন, সরকার নিজের মতো করে চলছে। আগামীতেও কোনো চাপ আসতে পারে বলে মনে করি না।
ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএসএফ ও বিজিবি সম্পর্কটা যাতে আরও ভালো হয়, সে বিষয়ে কথা হয়েছে। তাদের সাইবার সিকিউরিটি, সাইবার ফরেনসিক নিয়ে আরও ট্রেনিং দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
বৈঠকে দু'দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় এবং দু'দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে দু'দেশের নিরাপত্তা বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, বর্ডার ক্রাইম, অরগানাইজড ক্রাইম- এগুলো যত কমানো যায়, যত ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং করা যায়, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। সব সময় আমরা এসব নিয়ে কথা বলে থাকি। ভারতের সাপোর্ট আমরা সবসময়ই পেয়ে থাকি।
ভিসা জটিলতা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা আমাদের আগেই জানিয়েছিলেন তাদের স্টাফ-অফিসার কম, সেজন্য তারা অ্যাপয়েন্টমেন্টটা একটু দেরিতে দিচ্ছেন। তারপরও তিনি (হাইকমিশনার) জানালেন, ২০২৩ সালে ১৬ লাখের বেশি লোককে তারা নতুন ভিসা দিয়েছেন। একদিনে সর্বোচ্চ সাত হাজার পর্যন্ত ভিসা দিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের বৈষয়িক সামর্থ্য বেড়েছে। সেজন্য তারা অ্যাফোর্ড করতে পারে, বিদেশে যায়। কেউ ভারতে যায় বেড়াতে, কেউ যায় চিকিৎসা নিতে, কেউ যায় পড়াশোনা করতে। সবকিছু মিলিয়েই ২০২৩ সালে ১৬ লাখের বেশি মানুষকে ভিসা দিয়েছে। ভবিষ্যতে তারা এটাকে আরও সহজ করার কথা চিন্তা-ভাবনা করছে।