কারও স্বীকৃতির জন্য সরকার বসে নেই :কাদের
প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
কারও স্বীকৃতির জন্য সরকার অপেক্ষায় বসে নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারও রিকগনিশনের জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় বসে আছি, নির্বাচিত সরকার এমন দেউলিয়া অবস্থায় পড়েছে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।
রোববার দুপুরে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
টানা চারবার নির্বাচিত হওয়ার পর বিদেশি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি কতটা জরুরি? প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বীকৃতি, এটা অভিনন্দন, এটা গণতন্ত্রের একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। এটা এখন নতুন প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, বন্ধু রাষ্ট্রগুলো অভিনন্দন জানায়।
বিএনপি হিংসায় জ্বলছে দাবি করে কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার পরেও বিপুল সংখ্যক মানুষ ভোট দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দলকে নির্বাচিত করেছে। এই ৬
হিংসার আগুনে তারা জ্বলছে। তারা ইর্ষাকাতর হয়ে আছে।
বিএনপির আন্দোলনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা কেউ দেখেনি। তাদের আন্দোলনের বিষয়টি স্পষ্ট নয়, একবার তারা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আবার তারা নির্বাচন বানচালের আন্দোলন করে। আসলে তাদের তথাকথিত আন্দোলনের ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়ে তারা রাজনৈতিক আন্দোলনকে হাসি তামাশায় পরিণত করেছে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনের কর্মসূচিতে এখন ঘোড়াও হাসে।
তিনি আরও বলেন, তাদের (বিএনপি) শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আমরা বাধা দেব না, আন্দোলনের নামে সংঘাত করতে চাইলে আমরা নৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। আর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে।
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটা সেল কাজ করছে। মূল্যস্ফীতির বিষয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে এবং ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্য এখন সারা বিশ্বেই একই অবস্থা, ইউরোপে গড় মূল্যস্ফীতি ১০.৫। যুদ্ধও বাড়ছে, মূল্যস্ফীতিও বাড়ছে। যুদ্ধও বাড়ছে, জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে। মাঝে মধ্যে মনে হয় পৃথিবীটা একটা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে, মনে হয় সারা দুনিয়াটা একটা যুদ্ধক্ষেত্র। এর প্রভাব দ্রব্যমূল্যে পড়বেই। এটা আমরা চাইলেই রুখতে পারব না।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, দপ্তর সম্পাদক বিপস্নব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।