পলস্নবীতে সিসি ক্যামেরায় খুনের দৃশ্য

গ্রেপ্তার ৫ জন

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর পলস্নবীতে 'পেপার সানী গ্রম্নপ ও 'গালকাটা রাব্বি' গ্রম্নপের দ্বন্দ্বের জেরে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ফয়সালকে। আগে তারা একই গ্যাংয়ের সদস্য ছিলেন। মাদক কেনাবেচাসহ নানা দ্বন্দ্বের জেরে আলাদা গ্যাং তৈরি করেছিলেন। ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় পলস্নবী এলাকায় ফয়সাল নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়। ফয়সালকে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনাটি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায়ও ধরা পড়েছে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানান। তারা হলেন মো. আকাশ ওরফে টান আকাশ (২২), ফজলে রাব্বি ওরফে হিটার রাব্বি ওরফে গালকাটা রাব্বি (২০), মো. ইমরান (২৫), মো. রাসেল কাজি (২৪) ও নয়ন (২৫)। তাদের সবার বয়স ২০ বছর বা তার ওপরে হলেও র?্যাব তাদের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য বলেছে। র্ যাব বলছে, গত শুক্রবার নরসিংদী ও গাজীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রাব্বি ও আকাশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল সংলগ্ন একটি বাগান থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। র?্যাব বলছে, র?্যাব-৪ ও র?্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে গাজীপুর এবং নরসিংদী থেকে মূল আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ের্ যাব বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা এবং নিহত ফয়সাল একসময় মিরপুর এলাকার কিশোর গ্যাং 'পেপার সানী' গ্রম্নপের সদস্য ছিলেন। গালকাটা রাব্বি পেপার সানী গ্রম্নপের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে কাজ করত। কিন্তু চার থেকে পাঁচ মাস আগে মাদক কেনাবেচা নিয়ে ভাগাভাগি, সিনিয়র-জুনিয়র, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের কোন্দল ঘিরে রাব্বি ওই গ্রম্নপ থেকে বের হয়ে 'গালকাটা রাব্বি' নামে পৃথক গ্রম্নপ তৈরি করে। এর পর থেকেই দুই গ্রম্নপের মধ্যে প্রায়ই মারামারি হতো। র্ যাব জানায়, ঘটনার দিন ফয়সাল ও রানা স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার পার্টি শেষে ফিরছিলেন। এ সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের ওপর হামলা চালান রাব্বি গ্রম্নপের সদস্যরা। এ সময় ফয়সাল ও রানাকে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় গ্রম্নপের এক সদস্যের বাসার ছাদে গিয়ে পেপার সানী গ্রম্নপের সদস্যকে উচিত শিক্ষা দিতে পারায় পার্টি করে উদ্‌?যাপন করে। পার্টি শেষে তারা জানতে পারে ফয়সাল হাসপাতালে মারা গেছেন ও রানা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। হত্যাকান্ডের ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রেপ্তার এড়াতে তারা প্রথমে নেত্রকোনায় আত্মগোপন করে। সেখানে দুই দিন অবস্থান করে। পরে মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রাব্বির বিরুদ্ধে ডাকাতি, মারামারি ও মাদকসংক্রান্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানায় চারটি মামলা রয়েছে??। সে একাধিকবার কারাভোগ করেছে। আকাশের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। সেও একাধিকবার কারাভোগ করেছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার রাসেল, ইমরান ও নয়ন কিশোর গ্যাং 'গালকাটা রাব্বি' গ্রম্নপের সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মারামারি ও মাদকসংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে।