ভোটার তালিকা হালনাগাদে ২৩ এপ্রিল তথ্য সংগ্রহ শুরু

যাদের বয়স ১৮ হয়নি, কিন্তু ১৬ পেরিয়েছে (২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্ম), তাদের তথ্য নেওয়া হবে। ভোটার হওয়ার বয়স হলে তাদের তালিকাভুক্ত করে নেওয়া হবে

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ভোটার তালিকা হালনাগাদে আগামী ২৩ এপ্রিল দেশজুড়ে ভোটারযোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহে নামছে নির্বাচন কমিশন; এ যাত্রায় প্রায় ৮০ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা যাবে বলে ইসি কর্মকর্তাদের ধারণা। ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, ২৩ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের এই কাজ চলবে। যাদের বয়স ১৮ হয়নি, কিন্তু ১৬ পেরিয়েছে (২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্ম), তাদের তথ্য নেওয়া হবে। ভোটার হওয়ার বয়স হলে তাদের তালিকাভুক্ত করে নেওয়া হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের পর ২৫ মে থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নির্ধারিত কেন্দ্রে নাগরিকদের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ চলবে। ইসি সচিব জানান, ৫২ হাজার ৫০০ জন তথ্য সংগ্রহকারী; ১০ হাজার ৫০০ জন সুপারভাইজার ও ৭৮০ জন সহকারী রেজিস্ট্রেশন অফিসার এই কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত থাকবেন। কবে কোন এলাকায় কোথায় নিবন্ধন হবে তা পরে জানানো হবে। হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন ভোটারের পাশাপাশি মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে ও ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নেওয়া হবে। বর্তমানে দেশের ১০ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৩৮১ জন ভোটারের মধ্যে ৫ কোটি ২৫ লাখ ১২ হাজার ১০৫ জন পুরুষ আর ৫ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২৭৬ জন নারী। অর্থাৎ, ভোটার তালিকায় পুরুষ ও নারীর অনুপাত ৫০.৪২: ৪৯.৫৮। হালনাগাদের কাজে ৪২ হাজার ট্যাব ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, ভোটকেন্দ্র থেকে ফলাফলের তথ্য ও দেশজুড়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহে ৪২ হাজার ২০০ ট্যাব কিনেছে নির্বাচন কমিশন। উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে চারটি উপজেলায় ইভিএমের ফলাফল পাঠাতে গিয়ে ইন্টারনেটে গতি কম থাকায় এবং সফটওয়্যারে জটিলতার কারণে সমস্যা হয়। পরে চতুর্থ ধাপে ইভিএমের ছয় উপজেলায় আর ট্যাব ব্যবহার করা হয়নি। হেলালুদ্দীন বলেন, 'সফটওয়্যার অপটিমাইজেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বলা হয়েছে। ৫ মে ময়মনসিংহ সিটিতে ভালোভাবে ট্যাব ব্যবহার করতে পারব। ইন্টারনেটের গতি যাতে ভালো থাকে, সে ব্যবস্থাও রাখা হবে। পরে দেশের সব এলাকায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহেও এসব ট্যাব ব্যবহার করা হবে।' সর্বশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোটকেন্দ্র ছিল। নতুন ভোটার নিবন্ধন কাজে এসব কেন্দ্র ব্যবহার করবে ইসি।