নোবিপ্রবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও জখমে যুবক গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও জখমের মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মো. হৃদয় হোসেন (৩০) নোয়াখালী জেলা শহরের পূর্ব লক্ষ্ণীনারায়ণপুরের মো. আনোয়ারের ছেলে। সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকালে মাইজদী শহর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে দুপুরে এ ঘটনায় ছাত্রী বাদী হয়ে হৃদয়ের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদেশের দিন ধার্য করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওসি আনোয়ার হোসেন মামলার বরাত দিয়ে জানান, নোবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্রী লক্ষ্ণীনারায়ণপুরে হৃদয়দের বাড়িতে তার ছোট বোনকে (সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী) প্রাইভেট পড়ান। তার বাড়ি সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া গ্রামে। মাইজদী হাউজিং আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। গত ২ মার্চ রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রাইভেট পড়ানোর পর ওই বাড়ি থেকে হাউজিং আবাসিক এলাকায় ফিরছিলেন ঐ ছাত্রী। এ সময় ঝড় বৃষ্টির মধ্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে হৃদয় ছাত্রীকে তার মোটরসাইকেলে ওঠার প্রস্তাব দেয়। ছাত্রী এতে রাজি না হলে হৃদয় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে এবং এক পর্যায়ে তাকে মাথায় আঘাত করে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এতে ছাত্রীর মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হয় এবং এক পর্যায়ে সে স্মতিশক্তি হারিয়ে ফেলে। এরপর তাকে ৯ মার্চ পর্যন্ত মাইজদী ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। সুস্থ ছাত্রী মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করার পর পুলিশ অভিযুক্ত হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে। এদিকে সন্ধ্যায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উলেস্নখ করা হয়, সুস্থ হয়ে ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে পুরো ঘটনা অবহিত করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনকে জানায়।