ইউএনএফপিএ প্রতিবেদন

দেশে মাধ্যমিক শিক্ষায় ভর্তির হার এখনো কম

মাধ্যমিক শিক্ষার খরচ বেশি হওয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি করা থেকে বিরত থাকেন

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষায় ভর্তির হার এখনো উলেস্নখযোগ্যভাবে কম। তবে অতীতের চেয়ে ভালো। 'স্টেট অব ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিপোর্ট-২০১৯' অনুযায়ী ২০১৭ সালে বাংলাদেশে মাধ্যমিকে ৫৭ শতাংশ ছেলেশিশু ও ৬৭ শতাংশ মেয়েশিশু ভর্তি হয়েছে। অথচ ১৯৯৯ সালে মেয়েদের ভর্তির হার ৪৩ শতাংশ ছিল। এ ব্যাপারে শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, এটি সরকারের একটি বিশাল অর্জন। মাধ্যমিক স্কুলে মেয়েদের ভর্তির হার বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে বাংলাদেশে নারীশিক্ষা একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। উপমন্ত্রী বলেন, ছেলে শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে ঝরে পড়ার (ড্রপআউট) উচ্চ হারের কারণ খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছে সরকার এবং বিষয়টি সমাধানের জন্য 'বৈজ্ঞানিক উপায়' গ্রহণ করা হবে। এদিকে প্রাথমিক স্কুলে মেয়েদের ভর্তির হার উলেস্নখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৭ সালে এটি ৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ১৯৯০ সালে ছিল ৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৭ সালে ছেলেদের ভর্তির হার ছিল ৯২ শতাংশ। মাধ্যমিক শিক্ষায় ভর্তির হার নিম্ন হওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের অভাবকে তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক দেবদাস হালদার। তিনি বলেন, প্রাথমিকের চেয়ে মাধ্যমিকের শিক্ষায় কম মনোযোগ দেয়া হয়। এ ছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষার খরচ বেশি হওয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি করা থেকে বিরত থাকেন। তিনি আরো উলেস্নখ করেন, বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের উচ্চহারও স্কুল ড্রপআউটের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, 'প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির হারের মধ্যে পার্থক্য দূর করতে সরকার কাঠামোগত পরিবর্তন আনা ও সমর্থন বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে। কাঠামোগত নীতি কিছু ক্ষেত্রে ভালো ফল এনেছে। এখন আমরা সকল স্টেকহোল্ডারকে সম্পক্তৃ করে একটি টার্গেট পলিসি ধরে এগিয়ে যেতে চাই।'