ঢাকায় ১৯ দিন ধরে নিখোঁজ সফটওয়্যার প্রকৌশলী

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কামরুল হাসান
রাজধানীতে ১৯ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন কামরুল হাসান (৩১) নামের এক সফটওয়্যার প্রকৌশলী। গত ১ এপ্রিল বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে বের হয়ে আর ফেরেননি তিনি। এ ঘটনার পরদিন (২ এপ্রিল) তার বাবা বিমানবাহিনীর সাবেক মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার মো. রুস্তম আলী পলস্নবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডিতে উলেস্নখ করা হয়, রাজধানীর পলস্নবী থানাধীন মিরপুর ডিওএইচএসের ১০ নম্বর সড়কের ৬ নম্বর লেনের ৭৬৪ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলায় (এফ-১) অবস্থিত একটি আইটি ফার্মে কাজ করতেন কামরুল হাসান। ১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুরের বারুণটেকের ১৪/১ নম্বর বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে বের হন তিনি। রাতে অফিস থেকে ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে রাত পৌনে ১১টায় কামরুল হাসান তার স্ত্রীর মোবাইলফোনে বার্তায় জানিয়ে দেন যে, তিনি বাসার দিকে রওনা হয়েছেন। কিন্তু এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। কামরুল হাসানের বাবা বিমানবাহিনীর সাবেক মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার মো. রুস্তম আলী বলেন, জিডি করার পর এখন পর্যন্ত আমার ছেলের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ডিবি ওর্ যাবে যোগাযোগ করেছি। তারা কোনো হদিস দিতে পারেনি। পলস্নবী থানায় যোগাযোগ করা হলে তারাও খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানান। কামরুল হাসানের মামাত ভাই প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, অফিস থেকে রাতে বের হয়ে বাসায় না ফেরায় পরদিন অফিসে যোগাযোগ করি। সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। তিনি বলেন, কামরুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি ওই প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরিচু্যত করা হয় তাকে। এরপর থেকে মিরপুর ডিওএইচএসের ১০ নম্বর সড়কের একটি ভবনে অফিসও ভাড়া নিয়েছিলেন কামরুল। এ বিষয়ে পলস্নবী থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মশিউর রহমান বলেন, আজ (শুক্রবার) সকাল পর্যন্ত কামরুল হাসানের খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা তার ফোন ট্র্যাকিং করে দেখেছি, অফিসেই তার ফোন বন্ধ ছিল। আর ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তিনি অফিস থেকে স্বাভাবিকভাবেই বের হয়েছেন। কামরুল হাসানের স্ত্রী ও আড়াই মাস বয়সী একটি কন্যাসন্তান আছে। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উলস্নাপাড়া উপজেলার সারুটিয়া গ্রামে। ঢাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে পলস্নবীর বারুণটেকে থাকতেন তিনি।