চাঁদপুরে ম্যাজিস্ট্রেটসহ আহত ২, জেল-জরিমানা ১৭ জেলের

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে অভিযানকালে জেলেদের হামলার শিকার হয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ দুই কর্মকর্তা। এ সময় আত্মরক্ষার্থে নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১ রাউন্ড বস্ন্যাংক ফায়ার করে। হামলায় আহতরা হলেন- চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুলস্নাহ আল মাহমুদ জামান ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে কাটাখালি এলাকায় মেঘনা নদীতে অভিযানকালে জেলেরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে মৎস্য কর্মকর্তাসহ তারা দুইজন আহত হন। পরিস্থিতি শান্ত করতে রাবার বুলেট ও বস্ন্যাংক ফায়ার করে নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা। তিনি জানান, মেঘনা নদীতে মাছ ধরার অপরাধে ১৭ জেলেকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের জেল-জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল ইসলাম। অভিযানকালে ৬৩টি মাছ ধরার নৌকা আটক করে ব্যবহারের অনুপযোগী করা হয় এবং ৫টি মাছের আড়ত আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া ১ মণ জাটকা ও পৌনে ৪ লাখ মিটার কারেন্টজাল জব্দ করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর চর, গোয়ালিয়র চর, শরীয়তপুরের সীমান্ত সংলগ্ন কাটাখালি, সাইলুরের ছাই ফ্যাক্টরি এলাকা, আনন্দবাজার, টিলাবাড়ি এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে আটক ১৩ জেলেকে ১ বছর করে কারাদন্ড এবং বাকি ৪ জনকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। অভিযানে অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুলস্নাহ আল মাহমুদ জামান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, চাঁদপুর নৌথানার ওসি আবু তাহের, কোস্টগার্ড কমান্ডার আবদুল মালেক, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর সদস্যবৃন্দ। ইলিশ অভয়াশ্রম কর্মসূচির আওতায় জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।