বঞ্চিতদের কাছে আইনের সেবা পৌঁছাতে হবে: স্পিকার

প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কাছে প্রত্যেক আইনজীবীকে আইনের সেবা পেঁৗছে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আইনজীবীদের ভ‚মিকা রাখতে হবে। সেখানেই এই ‘রেবিলিয়াস ল-ইয়ারিং’ এর ক্ষেত্র তৈরি হয়।’ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান রচিত ‘এন্টি জেনেরিক লানির্ং অ্যান্ড রেবেলিয়াস ল-ইয়ারিং: রিফ্লেকশন অন লিগ্যাল এডুকেশন ইন বাংলাদেশ’ শীষর্ক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘একটি শোষণ এবং বৈষম্যমুক্ত সমাজব্যবস্থা গঠনের যে অঙ্গীকার আমাদের সংবিধানে করা হয়েছে, তা নিশ্চিত করার জন্য ন্যায়বিচার সবার ক্ষেত্রে সুনিশ্চিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রেও ‘রেবিলিয়াস ল-ইয়ারিং’ এর প্রয়োজনীয়তা আছে। এই ধারণা যেমন পিছিয়েপড়া দরিদ্র, বঞ্চিত এবং শোষিত মানুষের জন্য, ঠিক তেমনিভাবে অন্যান্য সব ক্ষেত্রে প্রয়োজন।’ দেশের সব নাগরিকের যে সম-অধিকারের কথা সংবিধানে বলা আছে, তার পক্ষে কাজ করার জন্য স্পিকার সব আইনজীবীকে আহŸান জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযর্ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে গ্রন্থ সম্পকের্ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ আইন কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. এম শাহ আলম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক, বিচারক, আইনজীবী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘রেবিলিয়াস ল-ইয়ারিং’ বিষয়টি যেহেতু মূল্যবোধ সংক্রান্ত, সেহেতু বাংলাদেশের প্রতিটি লিগ্যাল সিস্টেমে এই মূল্যবোধ বা দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন আছে। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে সামগ্রিকতা প্রয়োজন। এই সামগ্রিকতার দৃষ্টিভঙ্গি আনয়ন করা খুবই জরুরি।’ তিনি বলেন, ‘এ দেশে যে পরিমাণ মামলা রয়েছে, তা নিষ্পত্তি করতে হলে কয়েক কোটি শ্রমবষর্ লেগে যাবে। সেটি দ্রæততার সঙ্গে কীভাবে আমরা সমাধান করতে পারি সেটিও নিশ্চিত করা দরকার। এ ছাড়াও মামলা নিষ্পত্তিতে সময়ক্ষেপণ না ঘটে সেই বিষয়টিও আমাদের দেখতে হবে। ‘এন্টি জেনেরিক লানির্ং অ্যান্ড রেবেলিয়াস ল-ইয়ারিং: রিফ্লেকশন অন লিগ্যাল এডুকেশন ইন বাংলাদেশ’ শীষর্ক গ্রন্থে বাংলাদেশে আইন শিক্ষার ত্রæটি এবং গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে আইন পেশাকে কীভাবে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সেবায় নিয়োজিত করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্স লিগ্যাল স্টাডিজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে ‘বিজয় প্রকাশ’।