একসঙ্গে ৬ মৃত সন্তান প্রসব!

প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

নওগঁা প্রতিনিধি
নওগঁার মান্দা উপজেলায় মৌসুমী আকতার নামে এক গৃহবধূ ছয়টি মৃত সন্তান প্রসব করেছেন। শুক্রবার রাতে নিজ বাড়িতে একটি ও শনিবার সকাল ১০টার দিকে নওগঁা সদর হাসপাতালে পর পর পঁাচটি মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি। জানা গেছে, নওগঁায় কোনো গৃহবধূর একসঙ্গে ছয়টি মৃত বাচ্চা প্রসবের এটাই প্রথম ঘটনা। এ কারণে নওগঁা সদর হাসপাতালে শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ ভিড় করেন। নওগঁা সদর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. রওশন আরা খানম জানান, গভর্বতী হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা প্রসব হতে ৩৭ থেকে ৪০ সপ্তাহ সময় লাগে। কিন্তু এই প্রসূতির ক্ষেত্রে স্পন্টানিয়াস অ্যাবরশন (আপনা-আপনি গভর্পাত) হয়েছে। যার কারণে মাত্র ১৬ সপ্তাহে ছয়টি মৃত বাচ্চা প্রসব করেছেন ওই নারী। মৃত বাচ্চাগুলো ছেলে সন্তান ছিল বলেও জানান তিনি। মৌসুমীর স্বামী শেখ রানা জানান, ২০১০ সালে নওগঁার মান্দা উপজেলার ভরোট্ট কাঠেরডাঙ্গা গ্রামের ফজের আলীর মেয়ে মৌসুমীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। দীঘর্ আট বছর ধরে তাদের কোনো সন্তান হয়নি। গত এপ্রিল মাসে তার স্ত্রীর পেটে সন্তান আসে। স্থানীয় ডাক্তারের পরামশের্ নওগঁার একটি ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে আলট্রাসোনোগ্রাম করার পর জানতে পারেন তার স্ত্রীর পেটে ছয়টি সন্তান রয়েছে। এর পর থেকে গাইনি ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তার স্ত্রী। শেখ রানা আরও জানান, শুক্রবার বিকালে হঠাৎ করে তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বাসায় একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। এ সময় মৌসুমীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সদর হাসপাতালে ভতির্ করানো হয়। শনিবার সকাল ১০টার দিকে আরও পঁাচটি মৃত সন্তান প্রসব করেন মৌসুমী। তাকে নওগঁা সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। ডা. রওশন আরা খানম জানান, বতর্মানে প্রসূতি মৌসুমী সুস্থ আছে। একের অধিক বাচ্চা গভের্ থাকলে প্রসূতিকে স্পেশাল কেয়ার নিতে হয়। আর মৌসুমীর ক্ষেত্রে ছয়টি বাচ্চা গভের্ থাকায় সে অনেকটাই ঝুঁকিপূণর্ ছিল। এ কারণেই আগেই তার গভর্পাত হয়েছে।