প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কারপ্রাপ্ত ফজলে করিমকে সম্মাননা

প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার অজর্ন করায় রাউজানের সংসদ সদস্য এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পকির্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে শুক্রবার তার বাসভবনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান চট্টগ্রাম সমিতি-ওমান নেতারা Ñযাযাদি
বৃক্ষরোপণে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার অজর্ন করায় রাউজানের সংসদ সদস্য এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পকির্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে সংবধির্ত করেছে চট্টগ্রাম সমিতি-ওমান। সমিতির সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার রাউজানে তার বাসভবনে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানায়। এ সময় সমিতির সহ-সভাপতি জসীম উদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কাযর্করী সদস্য আবদুল করিম ও শাহদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন। ২০১৭ সালে বৃক্ষরোপণে সারাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অজর্ন করে রাউজান উপজেলা। এ কৃতিত্বের জন্য স্থানীয় সংসদ ফজলে করিম চৌধুরীকে বুধবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তজাির্তক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্বণর্পদক’ প্রদান করেন। এবারসহ তিনবার প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করেন সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। গত বছর তিনি অজর্ন করেছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’। এর আগে বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার অজর্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ক্রেস্ট ও স্বণর্পদক গ্রহণ করেন তিনি। শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ইয়াছিন চৌধুরী বলেন, ‘সবুজ ও পরিছন্ন রাউজানের স্বপদ্রষ্টা এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বৃক্ষরোপণে পর পর তিনবার জাতীয় স্বণর্পদক অজর্ন করে শুধু বিরল রেকডর্ করেননি, সেই সঙ্গে রাউজান উপজেলাকে উচ্চ মযার্দার আসনে বসিয়েছেন।’ সমিতির নেতাদের উদ্দেশে সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, ‘প্রত্যেকটি মানুষের দায়িত্ব পরিবেশ রক্ষায় এবং ফলমূল উৎপাদনের লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ করা। রাউজানবাসী তা করে দেখিয়েছে এবং শ্রেষ্ঠ হয়ে সারাদেশকে আলোকিত করেছে। এ পুরস্কারপ্রাপ্তি বৃক্ষরোপণে মানুষকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে নিঃসন্দেহে।’ তিনি রাউজানকে ক্লিন, পিঙ্ক আর গ্রিন উপজেলা করার উদ্যোগকে সফল করতে চট্টগ্রাম সমিতি ওমানকে এগিয়ে আসার আহŸান জানান। এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর উদ্যোগে রাউজানকে পিঙ্ক, ক্লিন ও গ্রিন সিটিতে রূপান্তরের অংশহিসেবে গত বছরের ২৫ জুলাই উপজেলায় একসঙ্গে ১ ঘণ্টায় ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪০টি ফলদ গাছের চারা রোপণ করা হয়। তার এ উদ্যোগ সারাদেশে বেশ আলোচিত ও প্রশংসিত হয়। রোপণ করা চারার বেশিরভাগই ধীরে ধীরে পরিপক্ব হয়ে ওঠেছে। কয়েক বছরের মধ্যে ফল আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তখন রাউজানবাসীকে বিভিন্ন ফল বাইরে থেকে কিনে খেতে হবে না। নিজ উপজেলার বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বেশি করে ফলদ, বনজ, ওষুধিসহ নানা জাতের বৃক্ষরোপণের জন্য সবর্স্তরের মানুষের প্রতি আহŸান জানিয়ে থাকেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। এ ছাড়া নিজের গ্রামের বাড়ি ও বাগানবাড়িতে ফলদ বৃক্ষরোপণ করে প্রাকৃতিক রূপে সাজিয়েছেন তিনি।