চট্টগ্রামে সোহেল হত্যা মামলার আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেলকে পিটিয়ে হত্যা মামলার এক আসামি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। সোমবার রাতে ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমানের ভাষ্য। নিহত মো. জাবেদ (২২) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সাবের আহম্মেদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তারা দুজনেই মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। পুলিশ কর্মকর্তা আশিক বলেন, একদল লোক 'ডাকাতির উদ্দেশ্য নিয়ে' জাম্বুরি মাঠে জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে ডবলমুরিং থানা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। 'সেখানে পৌঁছানোর পর তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি করে, পুলিশও তখন পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি থামলে সেখানে জাবেদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।' জাবেদকে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে সহকারী কমিশনার আশিক জানান। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি চায়নিজ পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, দুটি এলজি, ১৩ রাউন্ড গুলি ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। জাবেদ পাহাড়তলি এলাকার ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার আসামি। সোহেলকে গণপিটুনি দেয়ার সময় জাবেদ ছুরি মেরেছিল, ভিডিও ফুটেজে সেটা দেখা গেছে। জাবেদের কাছে যে চায়নিজ পিস্তলটি পাওয়া গেছে, সেটি সরকারি কোনো সংস্থার বলে মনে হচ্ছে। পাহাড়তলি রেলওয়ে বাজারে গত ৭ জানুয়ারি সকালে মহিউদ্দিন সোহেলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা সে সময় বলেছিলেন, বাজারের লোকজন 'চাঁদাবাজি'তে অতিষ্ঠ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু মহিউদ্দিন সোহেলের পরিবার পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করে, 'পরিকল্পিতভাবে' এই হত্যাকান্ড ঘটনো হয়েছে। এরপর সোহেলের ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে ২৭ জনের নাম উলেস্নখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও দেড়শ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পাহাড়তলি রেলওয়ে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবের আহম্মেদ, জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খান ও যুবদল নেতা শওকত খান রাজুকেও সেখানে আসামি করা হয়। ওসমান ও রাজুকে পুলিশ ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক সোহেল তার আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন। চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে তিনি পরিচিতি ছিলেন এলাকায়।