যুদ্ধাপরাধ: নেত্রকোনার আঞ্জু-ছোরাপের রায় আজ

প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
নেত্রকোনার আটপাড়া থানার হেদায়েত উলস্নাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি এবং সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলীর বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় জানা যাবে আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয় ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এ দুই আসামিদের বিরুদ্ধে। বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনাল মঙ্গলবার রায়ের এ তারিখ ঠিক করে দেয়। এর আগে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ট্রাইবু্যনাল গত ৭ মার্চ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে। আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে বিচার চলার পর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সেদিন তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে আঞ্জুর ভাই এনায়েত উলস্নাহ ওরফে মঞ্জুকেও আসামি করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে তার নাম মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়। পরে ওই বছরই কারাগারে থাকা ছোরাপ ও পলাতক আঞ্জুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল ও তাপস কান্তি বল। আসমিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আব্দুস শকুর খান। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে তাপস কান্তি বল বলেছিলেন, 'ট্রাইবু্যনালের আগের চেয়ারম্যানের অসুস্থতা ও মৃতু্য এবং ট্রাইবু্যনাল পুনর্গঠনের কারণে বিচার কার্যক্রম দীর্ঘদিন থমকে ছিল। ফলে এ মামলার বিচার কাজ শেষ করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আমরা শুনানিতে দুই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছি।' অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শকুর খান বলেছিলেন, 'অভিযোগের পক্ষে প্রসিকিউশন যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়েছে তাতে আসামিদের অপরাধ প্রমাণে তারা ব্যর্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। চূড়ান্ত যুক্তিতর্কে আমি আসামিদের খালাস চেয়েছি।' মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আঞ্জু, মঞ্জু ও ছোরাপ একাত্তরে শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় আটপাড়ার মধুয়াখালী, মোবারকপুর ও সুখারী গ্রাম এবং মদন থানার মদন গ্রামে তারা বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন বলে ট্রাইবু্যনালের প্রসিকিউশনের অভিযোগে।