কুমিলস্নার আমদীঘির নকশা বহির্ভূত কার্যক্রম বন্ধ

প্রকাশ | ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কুমিলস্না সিটি করপোরেশনের (কুসিক) হাউজিং অ্যাস্টেটের আমদীঘি এলাকায় নকশা বহির্ভূত সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী এটর্নি জেনারেল পূরবী রানী শর্মা। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া। একলাছ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, গত ২৯ অক্টোবর কুসিক হাউজিং অ্যাস্টেট এলাকার আমদীঘির লিজ বাতিল করে ভরাট বন্ধে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে স্পেশাল সার্ভে কমিটি করে ৯০ দিনের মধ্যে লিজ বাতিল ও ভরাট বন্ধে নেয়া পদক্ষেপ বিষয়ে আদালতকে জানাতে বলা হয়। এছাড়া আমদীঘিতে মাটি ভরাট বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কুমিলস্নার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। আজ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের দেয়া প্রতিবেদন দেখে আদালত এ আদেশ দেন। তিনি আরও বলেন, আদালতে দাখিল করা সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কুসিক হাউজিং অ্যাস্টেট এলাকার আমদীঘিতে অবৈধ ভরাট কার্যক্রমের সত্যতা রয়েছে। সেখানে ১৯৯২ সালের মূল নকশায় আমদীঘিসহ একাধিক দীঘি রয়েছে। তবে আমদীঘিকে খাস জমি দেখিয়ে গত বছর ছয়জনকে লিজ দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর, গত বছরের ১৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় ওই লিজ বাতিল করে মাটি ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। তারপরও সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়। এর আগে ঐতিহ্যবাহী ওই দীঘিটিকে পস্নট দেখিয়ে তা ভরাট করা হচ্ছে- মর্মে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিবাদীকে নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয়। আমদীঘি এলাকার বাসিন্দা নাজমুল আলম ওই রিট করেন। রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরিবেশ ও বন সচিব, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিলস্নার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ১০ জনকে।