সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের
কোটাবিরোধী আন্দোলনে বিএনপি ভর করেছে
প্রকাশ | ০৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীদের চলমান আন্দোলেন বিএনপিও 'অংশ নিচ্ছে' বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। জনদুর্ভোগ তৈরি করা কর্মসূচি পরিহার করতে আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'প্রকাশ্যেই বিএনপি ও তার সমমনারা কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তারা প্রকাশ্যে সাপোর্ট করেছে, এর মানে তারা এর মধ্যে অংশগ্রহণও করছে। কাজেই এখন এটা পোলারাইজড পলিটিক্সের মধ্যেই পড়ে গেছে। এটার পলিটিক্যাল কালার আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।' এই আন্দোলনে কারা কারা যুক্ত আছেন এবং এটি ষড়যন্ত্রের কোনো অংশ কি না সেটি আন্দোলনের গতিধারা লক্ষ্য করলেই স্পষ্ট হবে বলে মনে করেন তিনি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'সময়ের পরিবর্তনে সবকিছুই স্পষ্ট হয়ে যাবে। কোনো কিছুই লুকানো সম্ভব হবে না, সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।' যে কোনো আন্দোলনেই যে কোনো রাজনৈতিক দল সমর্থন জানাতে পারে তাহলে সমালোচনা কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আদালতের বিরুদ্ধে আন্দোলনে পৃথিবীর কোন দেশে কোন রাজনৈতিক দল সম্পৃক্ত হয়, সেটা দেখান? এটা বিচারাধীন। কোন রাজনৈতিক দল পারে না এইভাবে। এটা তো আদালতের রায়।' বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'তারা যে আন্দোলনটা করছে সেই সিদ্ধান্ত ছিল সরকারের। সরকারই সেই আপিল করেছে। যে বিষয়টা আদালতের, সেই বিষয়টা নিয়ে কথা বলা, সমালোচনা করা বা প্রতিবাদ করা এটা তো আইনসিদ্ধ নয়।' কোটা আন্দোলন নিয়ে করা আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমরা আপিল করলাম, এখনো আদালত চূড়ান্ত রায় দেয়নি। এখানে আমরা কীভাবে ইন্টারফেয়ার করি? আমরা বলছি জনদুর্ভোগ হয় এমন আন্দোলন পরিহার করা উচিত। আদালতের রায় হোক তারপর দেখা যাবে।' সর্বজনীন পেনশনে 'প্রত্যয় স্কিম' নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'স্কিম মুখ থুবড়ে পড়বে কেন? এখানে ভুল বোঝাবুঝি থাকতে পারে। তাদের সাথে (শিক্ষক নেতা) আমাদের যোগাযোগও আছে। আনুষ্ঠানিক বসাবসি হয়ত হয়নি। সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে।' তিনি বলেন, 'এখানে আমরা (সরকার) সুপিরিয়র না শিক্ষক সুপিরিয়র সে বিতর্কে আমরা যাব না। যার যার পদমর্যাদার ভিত্তিতে যেটা বাস্তবসম্মত আমরা সেটাই করতে চাই।'