ব্যাংক কমর্কতাের্ক মেরে আঙুল ফাটাল পুলিশ

প্রকাশ | ২৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

গাজীপুর প্রতিনিধি
আহত সোনালী ব্যাংক কমর্কতার্ মো. আমির হোসেন Ñযাযাদি
সোনালী ব্যাংকের এক কমর্কতাের্ক মারধর করেছেন পুলিশের দুই সদস্য। এ ঘটনায় এক সাজের্ন্ট ও এক কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার সকালে গাজীপুরের টঙ্গীর সাতাইশ এলাকায় এই মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরে আহত ব্যক্তির নাম মো. আমির হোসেন (৪৫)। তিনি টঙ্গীর সাতাইশ ব্যাংকপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আমির হোসেন সোনালী ব্যাংকের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমর্কতার্। ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদশীর্ ব্যক্তিদের ভাষ্য, আমির হোসেন সকাল নয়টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে রিকশায় করে ব্যাংকের উদ্দেশে রওনা দেন। সাতাইশ রোডের মাথায় পেঁৗছালে সেখানে কতর্ব্যরত সাজের্ন্ট মো. ফিরোজ ও কনস্টেবল শ্যামল দত্ত রিকশা থামান। রিকশা আর যেতে দেয়া হবে না জানালে চালকের সঙ্গে পুলিশের দুই সদস্যের বাগ্?বিতÐা হয়। এ সময় যাত্রী আমির হোসেন পুলিশ সদস্যদের বলেন, তিনি ভাড়া দিয়ে চলে যাচ্ছেন। তারা পরে রিকশাটিকে সরিয়ে দিক। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আমির হোসেনকে গালিগালাজ করতে থাকেন সাজের্ন্ট ফিরোজ ও কনস্টেবল শ্যামল। তারা উত্তেজিত হয়ে আমির হোসেনকে বেদম মারধরও করেন। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। তারা দুই পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করেন। খবর পেয়ে টঙ্গী থানার পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা দুই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করেন। একই সঙ্গে আহত ব্যাংক কমর্কতাের্ক উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ব্যাংক কমর্কতার্ আমির হোসেন বলেন, হঠাৎ করে দুই পুলিশ সদস্য উত্তেজিত হয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। তার হাতের নখ ফেটে রক্ত বের হয়েছে। জামাকাপড় ছিঁড়ে গেছে। গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের পরিদশর্ক মো. সোহরাব হোসেন বলেন, সাজের্ন্ট ফিরোজ ও কনস্টেবল শ্যামল অসদাচরণ করেছেন। তাদের শাস্তি পেতে হবে। গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাজের্ন্ট ফিরোজ ও কনস্টেবল শ্যামলকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করে গাজীপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।