সহিংসতার তদন্তে গণতদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণা

প্রকাশ | ৩০ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে মৃতু্য, গুলিবর্ষণ, গ্রেপ্তারসহ নির্যাতনের নানা ঘটনার সত্য উদঘাটনে 'জাতীয় গণতদন্ত কমিশন' গঠন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে 'গণহত্যার বিচার চাই; গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন বন্ধ করো' শীর্ষক আইনজীবীদের এক মানববন্ধন থেকে এই কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। জাতীয় গণতদন্ত কমিশনে কারা থাকবেন এবং তাদের কাজের ক্ষেত্র কী হবে, সেটিও মানববন্ধনে পড়ে শোনান এক আইনজীবী। পরে এ-সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। এই কমিশনের যুগ্ম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. আবদুল মতিন ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। কমিশনের সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান ও গবেষক মাহা মির্জা। জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের সদস্যদের মধ্যে আরও আছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, আইনজীবী অনীক আর হক, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান ও আশরাফ কায়সার। এই কমিশনের উপদেষ্টা হিসেবে থাকছেন আইনজীবী তোবারক হোসাইন, শাহদীন মালিক, সারা হোসেন, রাশনা ইমাম ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আরও রয়েছেন অধ্যাপক সলিমুলস্নাহ খান, শিক্ষক কাজী মাহফুজুল হক ও সাইমুম রেজা তালুকদার। 'জাতীয় গণতদন্ত কমিশন' গঠনসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, '১৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে সহিংসতার সূত্রপাত করা হয়। বিশেষ করে এই সহিংসতার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ পথে নেমে এলে রংপুরে আবু সাঈদকে সরাসরি বুকে গুলি করা হয়। কিন্তু পুলিশ যখন মামলা করে, তখন সাধারণ ছাত্র ও জনগণকে দায়ী করা হয়। এতে গোটা তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মনে প্রশ্ন উঠেছে এবং এসব ঘটনায় সত্য উদঘাটনের দাবি উঠেছে। এ ঘটনায় সংবাদপত্রের হিসেবে অন্তত ২০৯ জনের মৃতু্যর সংবাদ প্রকাশিত হলেও সরকারি হিসাবে তা ১৪৭ জন।' বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন, গুলিবর্ষণ, গণগ্রেপ্তারসহ নানা সহিংস উপায়ে তা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হয়েছে। তাতে সংবিধান, প্রচলিত আইন ও চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তাই এসব ঘটনার কারণ উদ?ঘাটন, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আবশ্যকতা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দেশের শিক্ষক, আইনজীবী, সংস্কৃতিকর্মী ও সাধারণ অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কয়েকজন প্রথিতযশা ব্যক্তির সমন্বয়ে 'জাতীয় গণতদন্ত কমিশন' গঠন করা হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক সচেতন ব্যক্তিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১ জুলাই থেকে সংঘটিত বিভিন্ন সহিংস নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, গুলিবর্ষণ, হুমকি, মামলা, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যাবতীয় তথ্য পাঠানোর (কমিশনের কাছে) অনুরোধ জানানো হবে। অডিও, ভিডিও, আলোকচিত্র, লেখাসহ যেকোনো ধরনের তথ্য এই কমিশনের কাছে পাঠানো যাবে।