উত্তরের ৪ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হবে: পিডিবি

প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের কারণে উত্তরের চার জেলায় (রংপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম) এক মাস বিদ্যুৎ বিভ্রাট হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোডের্র (পিডিবি) চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ। সোমবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। পিডিবি চেয়ারম্যান জানান, এ সংকট সমাধানে সিরাজগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ‘প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট ঊধ্বর্তন কমর্কতাের্দর সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন- জনভোগান্তি কমাতে হবে। উদ্ভূত এই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে মানুষের কষ্ট লাঘব করতে হবে।’ জ্বালানি সংকটে পড়ে দিনাজপুর জেলার পাবর্তীপুরে দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রোববার রাত ১০টা ২০ মিনিটে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। কবে নাগাদ পুনরায় এটি চালু হবে তা বলতে পারেননি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ব্যবস্থাপনা কতৃর্পক্ষ। এদিকে, বড়পুকুরিয়া খনির কোল ইয়াডর্ থেকে প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি খনি কতৃর্পক্ষ ‘সিস্টেম লস’ হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বড়পুকুরিয়া খনির ওপর নিভর্র করে খনির পাশ্বের্ কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ও ১২৫ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিট রয়েছে। কেন্দ্রটি পূণর্ উৎপাদনে থাকলে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হয়। ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার ১নং ইউনিটটি (জেনারেল ওভারহোলিং) মেরামতের জন্য কয়েকমাস ধরে বন্ধ রয়েছে। আর ২নং ইউনিটটি কয়লা সংকটের কারণে গত ২৯ জুন বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়লা সংকটের কারণে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩ নং ইউনিটটি কয়েকদিন ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে, অবশেষে গত রাতে সেটিও বন্ধ হয়ে গেল।