৫৭ ধারার মামলায় আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ কারাগারে

প্রকাশ | ১৬ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ইমতিয়াজ মাহমুদ
ফেসবুকে 'উসকানিমূলক' বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার মামলায় গ্রেপ্তার কবি ও আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে ইমতিয়াজকে হাজির করা হলে তার জামিন আবেদন নাকচ করে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। খাগড়াছড়ির এক পুরনো মামলায় বনানী থানা পুলিশ এই আইনজীবীকে সকালে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান (রচি) ও সাখাওয়াত হোসেনসহ (তাসলিম) কয়েকজন আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন। বাম সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা ইমতিয়াজ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। তিনি লেখালেখিও করেন। শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ২০১৭ সালে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারার এ মামলা করেন। তার অভিযোগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে ফেসবুকে 'উসকানিমূলক' মন্তব্য করেছেন। সে সময় এ মামলায় গ্রেপ্তার হলেও পরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন পান ইমতিয়াজ। বনানী থানার ওসি বিএম ফরমান আলী বলেন, 'তার নামে খাগড়াছড়ি থেকে একটা ওয়ারেন্ট এসেছে। আজ সকালে ওই ওয়ারেন্টে তাকে বনানীর বাসা থেকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।' তবে আদালতে জামিন শুনানিতে ইমতিয়াজের আইনজীবী বলেন, 'চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। হয়তো কোনো একটা কাগজ আদালতে না পৌঁছানোর কারণে এ রকমটি হয়েছে। আমরা তার জামিন চাচ্ছি।' বিচারক তখন বলেন, ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আর চার্জশিটও বোধহয় চলে এসেছে। ইমতিয়াজের আইনজীবী তখন আবারও বলেন, কোথাও একট ভুল হচ্ছে। বিচারক তখন বলেন, ভুল আপনাদের হতে পারে আবার আমাদেরও হতে পারে। আর আমার কাছে তো মূল নথি নাই। এরপর জামিন নাকচ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় মঙ্গলবার বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার হন কবি হেনরী স্বপন। ইস্টার সানডের দিন শ্রীলংকায় গির্জায় বোমা হামলা নিয়ে ফেসবুকে এক মন্তব্যে তিনি 'ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত' দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। তাদের মুক্তির দাবিতে বিকালে শাহবাগে বিক্ষোভের কর্মসূচি দেয় কয়েকটি সংগঠন।