সাংবাদিকদের পেটে লাথি মেরে কোনো মন্ত্রী টিকতে পারেন নাই : বিএফইউজে

প্রকাশ | ১৬ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোলস্না জালাল বলেছেন, 'আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আপনার আগেও অনেক তথ্যমন্ত্রী ছিলেন, ভারী মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু সাংবাদিকদের পেটে লাথি মেরে কোনো মন্ত্রী টিকতে পারেন নাই।' বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত 'গণমাধ্যমে ছাঁটাই বন্ধ, নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেট প্রকাশ এবং ঈদের আগে বেতন-বোনাস প্রদান' শীর্ষক এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ একটি ইন্টারভিউ দিয়েছেন। সেখানে গণমাধ্যম কীভাবে চলতে হবে, কোন আইনে চলতে হবে, সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা কীভাবে দিতে হবে, কর্মীকে ছাঁটাই করতে হলে কীভাবে করতে হবে, তার পাওনা কীভাবে পরিশোধ করতে হবে- সেসব বিষয় নিয়ে উনি কথা বলেছেন। সে বিষয়গুলো আমি মন দিয়ে পড়েছি। বিশ্বাস করতে চাই, হাছান মাহমুদ মালিককে সন্তুষ্ট করতে নয়, গণমাধ্যমকর্মীদের সত্যিকারের অধিকারের জায়গা থেকে কথা বলেছেন।' 'এবার আমরা দেখতে চাই, এই জায়গাটায় আপনি আন্তরিক কিনা। ঈদের আগে আগামী ৩০ মে-এর মধ্যে সব সাংবাদিক বেতন-ভাতা পান কিনা। আর যদি আন্তরিক না হন, এর মধ্যে কোনো ধরনের ধোঁয়াশা থাকে, তাহলে আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আপনার আগেও অনেক তথ্যমন্ত্রী ছিলেন, ভারী মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু সাংবাদিকদের পেটে লাথি মেরে কোনো মন্ত্রী টিকতে পারেন নাই,' বলেন তিনি। ৩০ মে এর মধ্যে সব মিডিয়ার বেতন-ভাতা ও বোনাস দিতে হবে দাবি করে এই সাংবাদিক নেতা বলেন, 'বাড়তি কিছু চাই না। আইন আমার জন্য যা নির্ধারণ করেছে, তা কড়ায়-গন্ডায় পেতে চাই। আমার যদি যোগ্যতা না থাকে, আইন নির্ধারণ করে দিয়েছে আমাকে আপনি কীভাবে ছাঁটাই করবেন। যাওয়ার আগে আমার পাওনা কীভাবে পরিশোধ করবেন। যদি না করেন, তবে আমরা অসহায়ের মতো যাব না। ৩০ মে-এর মধ্যে সব সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা, টেলিভিশন মিডিয়ায় সবার বেতন-ভাতা ও বোনাস দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে বেতন-ভাতা দিতে বাহানা করে, তার জন্য ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ যেকোনো সিদ্ধান্ত নেবে। আর তার সমুদয় দায় সরকার ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে বহন করতে হবে। আমরা কোনো বেআইনি পথে যাব না, আইনি অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।' যদি ৩০ মে-এর মধ্যে সব মিডিয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে, তবে ৩০ তারিখ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন। মানববন্ধনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।