ভোগান্তি থেকে বাঁচতে আগেই ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে

প্রকাশ | ২০ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঈদের ছুটি শুরুর আগেই বাড়ি ফিরতে টিকিট কাউন্টারে ভিড় জমিয়েছেন ঘরমুখো মানুষ। ছবিটি রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে তোলা -যাযাদি
শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস কাউন্টারে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বসেছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী হাসিবুল ইসলাম। সকাল ৯টার বাসে স্ত্রী-সন্তানকে নওগাঁর উদ্দেশে উঠিয়ে দেন। ঈদে নিজের ছুটি নিয়ে অনিশ্চয়তা ও ভোগান্তি কমাতেই স্ত্রী-সন্তানকে আগেভাগে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। হাসিবুল ইসলাম বলেন, 'প্রতিবছরই ঈদ আসলে শুনি, সড়ক মেরামত করা হয়েছে, যানজট হবে না, পুলিশ থাকবে। কিন্তু যথারীতি ঈদের ২-১ দিন আগে সড়কে যান চলাচলে অব্যবস্থাপনা স্পষ্ট হয়। মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। আর এবার তো প্রচন্ড গরম। তাছাড়া এখনো অফিসিয়ালি ছুটি পাইনি। সব ভোগান্তি থেকে বাঁচতেই ঈদের আগেভাগেই ওদের পাঠিয়ে দেয়া। শুধু হাসিবুল ইসলাম নন, অনেকেই ঈদের আগে বাড়ি ফিরছেন। চাকরিজীবীরা নিজে ফিরতে না পারলেও পরিবার পাঠাচ্ছেন। রোববার সরেজমিনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। কল্যাণপুরে কাউন্টারে ভিড় দেখে বোঝার উপায় নেই ঈদ আসতে আরও সময় বাকি। অনলাইনে টিকিট বিক্রি হলেও ন্যাশনাল ও দেশ ট্রাভেলস, আগমনী, এসআর পরিবহনে যেন যাত্রীর কমতি নেই। প্রায় সব বাসের কাউন্টারেই দেখা যায় যাত্রীদের। অপেক্ষমাণ যাত্রীদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। রাজশাহী ভদ্রা এলাকার সজিবুল ইসলাম বলছিলেন, 'এনজিওতে চাকরি করি। ছুটির সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তাই স্ত্রী আর মাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। ছুটি পেলে ফিরব বাড়ি।' হানিফ পরিবহনের কল্যাণপুর কাউন্টারের বাবুল মিয়া জানান, ঈদ উপলক্ষে আমরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঈদের টিকিট বিক্রি করছি গাবতলীতে। কিন্তু একই সময় এ কাউন্টার বাদে বাকি সব কাউন্টারে নিয়মিত যাত্রীরা টিকিট কিনছেন। বিশেষ করে সকালে ও সন্ধ্যার পর নিয়মিত যাত্রীদের সংখ্যা বেশি। ডিপজল পরিবহনের টিকিট মাস্টার আকমল হোসেন বলেন, 'ভোগান্তির কারণে আমরা বাস কমিয়েছি ঈদ যাত্রায়। তবে ঈদ শিডিউল যাত্রার আগেই অনেকে বাড়ি যাচ্ছেন। এই সময়টায় টিকিটের কাটতি বেশ ভালো।' ঈদের সময় চাপ কমাতে এ ধরনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ। তিনি বলেন, ঈদের টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ অনেক বেশি থাকে। গাড়ির চাপও সড়কে বেড়ে যায়। যে কারণে দুর্ঘটনা, যানজট ভোগান্তির আশঙ্কাও থাকে। তবে গৃহবধূ, স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ঈদের ছুটির আগে বাড়ি চলে গেলে চাপ অনেকটাই কমে যায়।