চট্টগ্রামের কুমিরা হতে সন্দ্বীপে সরাসরি ফেরি সার্ভিস চালু করছে নৌপম

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি প্রতিবেদন
দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে সন্দ্বীপের নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে উদ্যোগ নিয়েছে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়। গত ২৭ অক্টোবর নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নৌ উপদেষ্টা ব্রি. জে. (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পূর্বের যে কোনো সময়ের চেয়ে গতিশীল হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি কর্মচারীকে সর্বোচ্চ নিবেদন দিতে হবে বলে উপদেষ্টার এরূপ নির্দেশনার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জেলার সঙ্গে সন্দ্বীপের যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নতকরণে সার্বিক বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদনে নিরাপদ নৌ-যোগাযোগ স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দ্বীপ অঞ্চল সন্দ্বীপে প্রায় ৪ লাখ মানুষ বসবাস করেন। জীবিকা, শিক্ষা, চিকিৎসার মতো জরুরি কাজে বা দৈনন্দিন কাজে দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদের জনসাধারণকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় আসতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম উপকূল ও সন্দ্বীপের মাঝখানে সন্দ্বীপ চ্যানেল অবস্থিত এবং এই নৌপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৭ কি.মি.। এ পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য জনসাধারণকে নির্ভর করতে হচ্ছে বিআইডবিস্নউটিসি'র ১টি সি-ট্রাক এবং স্পিডবোটের উপর। সি-ট্রাক নিরাপদ নৌযান হলেও এতে উঠানামায় ভোগান্তির সীমা-পরিসীমা নেই। কুমিরা ঘাট হতে স্থানীয় বোটের মাধ্যমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা ১.৫ হতে ২ কি.মি. পথ পাড়ি দিয়ে মেইন স্ট্রিমে নোঙরকৃত জলযানটিতে উঠতে-নামতে হয়। বর্ষাকালে প্রবল জোয়ারের সময় সাগরে প্রচন্ড রোলিং হয়। ফলে ক্ষুদ্রাকার স্থানীয় বোটগুলোতে ভয়াবহ রকমের দুলুনি হয়। এতে শিশু, নারী ও বয়োজ্যেষ্ঠ যাত্রীদের নৌযাত্রায় অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হতে হয়। সন্দ্বীপ প্রান্তেও দুর্ভোগের অন্ত নেই বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ও জনসাধারণ নিত্য অভিযোগ জানিয়ে আসছেন। নাব্য কম থাকায় বিআইডবিস্নউটিসি'র সি-ট্রাকটিকে গুপ্তছড়া ঘাট হতে প্রায় ১/২ কি.মি. দূরে নোঙর করতে হয়। এ এলাকায় নৈমিত্তিক চলাচল সহজসাধ্য করার নিমিত্ত নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় সরাসরি ফেরি চলাচলের বিষয়টি আমলে নিয়েছে এবং তা অনতিবিলম্বে চালু করার লক্ষ্যে জোর পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। উভয় প্রান্তে সরু সংযোগ সড়ক, নাব্য সংকট, অর্থনৈতিকভাবে প্রক্রিয়াটি লাভজনক হবে কিনা ইত্যাদি বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সড়ক সংস্কার ও প্রশস্তকরণে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ফেরিঘাট স্থাপন, নৌপথ জরিপ ও নাব্য রক্ষায় বিআইডবিস্নউটিএ, ফেরি ন্যস্তকরণে বিআইডবিস্নউটিসি কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।