ভোলায় আরও ১৯টি গ্যাস কূপ খনন করা হবে জ্বালানি উপদেষ্টা

বিদু্যৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ভোলায় ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি ও ২০২৮ সালের মধ্যে আরও ১৪টিসহ মোট ১৯টি গ্যাস কূপ খনন করা হবে। তবে নির্দিষ্ট কোম্পানিকে নয়, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার যারা যোগ্য তাদেরই কূপ খননের দায়িত্ব দেওয়া হবে। শুক্রবার দুপুরে ভোলার ইলিশা গ্যাসক্ষেত্রে ইলিশা-১ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, 'আমাদের দেশে এখনো গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। যেখানে এখন আমাদের ৪ হাজার এমসি গ্যাস দরকার, সেখানে আমরা পাচ্ছি মাত্র ২ হাজার। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে গ্যাস আমদানি করছি, এতে আমাদের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে। ঘাটতি মেটানোর জন্য এলএনজি আমদানি করা হয়। আমরা জোরালোভাবে চেষ্টা করছি নতুন নতুন গ্যাসফিল্ড তৈরি করে গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে।' দেশে বর্তমানে গ্যাসের সংকট রয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, 'এ মুহূর্তে বাসাবাড়িতে গ্যাস দেওয়া হবে, আমাদের জন্য এটি মিথ্যা আশ্বাস। আমি যেহেতু রাজনীতি করব না তাই এই ধরনের মিথ্যা আশ্বাস দিব না। বর্তমানে বাণিজ্যিক গ্যাস সংযোগ চালু রয়েছে। যার প্রয়োজন সে নিতে পারবেন। তবে আবাসিক গ্যাস সারাদেশেই বন্ধ রয়েছে। চাহিদার তুলনায় গ্যাস কম হওয়ায় বছরে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার গ্যাস আমদানি করতে হয়।' এখন থেকে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ছাড়া কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, 'উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে যাদের কাছে ভালো প্রস্তাব পাব, আমরা তাকেই কাজ দিব। এসব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নেওয়া হবে। কোনো অনিয়ম করতে দেওয়া হবে না। আমরা সব বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করেছি। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনটাকে গুরুত্ব দিইনি, তাই দুর্নীতি বেশি হয়েছে। বড় প্রকল্পে আমরা জনগণের চাহিদাকে অধিক গুরুত্ব দিতে চাই।' ভোলায় সফর সম্পর্কে উপদেষ্টা জানান, এখানে আসার উদ্দেশ্য হলো আরও গ্যাস পাওয়া যায় কি না সেটার সম্ভাবনা এবং কী করলে আরও বেশি গ্যাস পাওয়া যাবে সেটা দেখা। এখানে (ভোলায়) যে গ্যাস আবিষ্কৃৃত হয়েছে সেই গ্যাসের পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না। সেটা কীভাবে পূর্ণ ব্যবহার করা যায় সেই বিবেচনা করা। ভোলায় যদি গ্যাসের ওপর নির্ভর করে শিল্পাঞ্চল করা যায়, তাহলে ভোলাবাসীরা উপকৃত হবেন। অনেকে চাকরি করতে পারবেন উলেস্নখ করে ফাওজুল কবির খান ভোলার বিদু্যৎ সমস্যা সমাধান ও গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দেন। এ সময় বিদু্যৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. মনজুর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।