পুঁজিবাজারকে দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছে না: মেনন

প্রকাশ | ২১ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন -যাযাদি
পুঁজিবাজারকে দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে 'দুর্নীতি, ঋণখেলাপি ও ব্যাংকিংখাতে নৈরাজ্য বন্ধে বাজেটে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার চাই' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। মেনন বলেন, দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড় করায় পুঁজিবাজার। অথচ এই পুঁজিবাজারকে দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছে না। এরশাদ সরকারের আমলে পুঁজিবাজারে ধস শুরু হয়, সেটি ১৯৯৬ ও ২০১০ সালেও হয়েছে। এখনো পুঁজিবাজারকে দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছে না। অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'আমরা দেখেছি যাদের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, এমন ব্যক্তিদেরও পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার সুযোগ দেয়া হয়েছে। আমার কাছে এরকম দশটি তালিকা রয়েছে যেগুলোর কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। অথচ এরা আইপিও এবং ফান্ড বৃদ্ধির নামে কোটি কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে তুলে নিয়েছে।' দেশের অর্থনীতিতে আর্থিকখাতের অবদান সবচেয়ে বেশি, কিন্তু যদি সর্ষের মধ্যে ভূত থাকে তাহলে এই খাত উন্নয়ন বা অবদান রাখবে কীভাবে, বলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি। কৃষকরা ধানের দাম পাচ্ছেন না, এখানেও দুর্নীতি হচ্ছে মন্তব্য করে মেনন জানতে চান, কৃষকদের কাছ থেকে এক লাখ টন ধান নেয়া হবে, বাকিটা মিল মালিকদের কাছ থেকে নেয়া হবে, এটি কেন? তিনি বলেন, ছিয়ানব্বই সালে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ধান কেনা হয়েছিল বলে কৃষকরা ধানের ন্যায্য দাম পেয়েছিলেন। এবারও কুষ্টিয়ার একজন ডিসি ধান কিনেছেন এজন্য কৃষকরাও দাম পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ভারতের এক-তৃতীয়াংশ ধান সরকার কিনে নেয়। আর এদেশের সরকার বলে তারা এত গোডাউন পাবেন কোথায়? সরকার এত বড় বড় মেগা প্রজেক্ট করছে তাহলে কেন প্রতিটি ইউনিয়নে সাইলো করতে পারবে না। আর্থিক খাতের দুর্নীতি বন্ধ হয়ে গেলে জিডিপির দুই দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে যাবে বলেও উলেস্নখ করেন মেনন। দুদক নিয়ে তিনি বলেন, 'দুদক কি অবস্থায় আছে আমরা তা জানি। এখন সরকারি কর্মচারীরা দুর্নীতি করলেও অনুমতি ছাড়া তাদের ধরা যাবে না। অথচ প্রাইমারি শিক্ষকদের ধরতে অনুমতি লাগে না দুদকের। এই হচ্ছে দুদকের চেহারা। দুর্নীতি সমাজদেহে ভরে গেছে। তাই এ অবস্থা থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।' ঋণখেলাপির ব্যাপারে তিনি বলেন, 'আমি পার্লামেন্টে ঋণখেলাপির বিষয়ে আলোচনার জন্য নোটিশ দিয়েছিলাম, সেটি আলোচনায় আসেনি।' ঋণখেলাপিদের জন্য যে প্রজ্ঞাপন জারি হতে যাচ্ছে, তা আগে অবশ্যই পার্লামেন্টে আলোচনা করার দাবি জানান সাবেক এ সমাজকল্যাণমন্ত্রী। ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক স্বদেশ রায় ও মহানগর সদস্য বেনজীর আহমেদ।