মতবিনিময় সভায় বক্তারা
সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ বন্ধে মানবিক বিপর্যয়ে পড়বে দ্বীপবাসী
প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
সরকার চাইলে সেন্টমার্টিনকে শতভাগ দূষণমুক্ত করা সম্ভব। এ জন্য দরকার একটা নীতিমালা। এ নীতিমালা তৈরি করে সরকার কঠোর হলেই সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা পাবে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন নেই। বন্ধ করা হলে পর্যটন ব্যবসায় ধস নামবে। এতে দ্বীপবাসীদের অনাহারে মানবিক বিপর্যয় হতে পারে।
বৃহস্পতিবার পল্টনের অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সেন্টমার্টিন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় অনাহারে দ্বীপবাসী, হাজার হাজার যুবকের চাকরিচু্যতি সর্বশান্ত উদ্যোক্তা, পর্যটন ব্যবসায় ধস ও মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট।
সভায় বক্তারা বলেন, সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে সেখানে বসবাস করা ১০ হাজার মানুষ বেকার হয়ে যাবে। কারণ তাদের ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এছাড়া সেন্টমার্টিনে যেসব উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী টু্যরিজমের সঙ্গে জড়িত তারা পথে বসে যাবে। তাই সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে সেখানে পরিবেশ আইন কঠোর করা জরুরি। যাতে পর্যটক, স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী সবাই সচেতন হতে পারে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটনরক্ষা-উন্নয়ন জোটের চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশি বলেন, সরকার বাস্তবতা না বুঝেই পর্যটন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা করা হলে সেখানকার বাসিন্দা, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীদের পথে বসতে হবে। সেন্টমার্টিনে বহু ব্যবসায়ীর বিনিয়োগ আছে। ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে। এটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। যারা পরিবেশের কথা বলে গলা ফাটান, তারাই বাসায় এসি, গাড়িতে এসি, অফিসে এসি চলান। কাবর্ণ নিঃস্বরণ করেন। ঢাকার পাশের চার নদী, ঢাকার খালগুলো দখল হয়ে গেছে, সেগুলো উদ্ধারের নাম নাই, ঢাকা শহর প্রতিদিন দূষণে বিশ্বে প্রথম হচ্ছে, সে দিকে নজর নাই। তাই সবকিছু জটিল না করে সমাধানের পথ সহজ করতে হবে। আমরা ওয়াদা করছি, আমাদের সঠিক গাইড লাইন দেন। আমরা মেনে চলব।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটনরক্ষা-উন্নয়ন জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় এভিয়েশন অ্যান্ড টু্যরিজম জার্নালিস্টস ফোরাম বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাদিরা কিরণ, অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম প্রমুখ বক্তব্য দেন।