সেপটিক ট্যাংক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ | ২৪ মে ২০১৯, ০০:০০

গাজীপুর প্রতিনিধি
ইসমাইল হোসেন জিসান
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কামারজুড়ি এলাকার একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে বৃহস্পতিবার সকালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্র গত ১২ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশ কামারজুড়ি এলাকা থেকে হাসিবুল ইসলাম নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত ইসমাইল হোসেন জিসান (২৪), গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা থানা এলাকার কাথোরা এলাকার সাব্বির হোসেনের ছেলে। তিনি ঢাকার শেরে বাংলা নগরের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৪র্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন গত ১২ মে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিজের মোটরসাইকেলটিসহ নিখোঁজ হন জিসান। ওইদিন রাতেই নিহতের পিতা সাব্বির হোসেন গাজীপুরের গাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেনের আর কোন খোঁজ পাওয়া না গেলে তার পিতা ফের ঢাকার শেরেবাংলানগর থানায় আরেকটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে কামারজুড়ি এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী মো. হাসিবুল ইসলামকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে গাজীপুরের কামারজুড়ি এলাকার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এছাড়া শিক্ষার্থীর মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন আটক আসামি হাসিবুলের দোকন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শেরেবাংলা নগর থানার এসআই মো. সুজানুর ইসলাম জানান, জিসান ঢাকার মিরপুরের শ্যামলীতে তার এক বন্ধুর বাসায় থেকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতেন। সপ্তাহে বৃহস্পতি, শুক্রবার ও শনিবার ঢাকার বন্ধুর বাসায় এবং সপ্তাহের বাকি দিনগুলো গাজীপুরের কাথোরা এলাকায় নিজেদের বাড়িতে থাকতেন। তিনি পাঠাওতে খন্ডকালীন চাকরি করতেন। ১২ মে গাজীপুর থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে জিসান নিখোঁজ হন। ১৬ মে তার বাবা ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় একটি জিডি করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সূত্রধরে জিসানকে উদ্ধারে নামে পুলিশ। পরে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার ভোরে হাসিবুলকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে পার্শ্ববর্তী এক টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় এবং হাসিবের কাছ থেকে জিসানের মোবাইল সেটটিও উদ্ধার করা হয়। তবে জিসানকে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। নিহতের মামা মো. সাইদুর রহমান জানান, ১২ মে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস সেরে ঢাকা থেকে গাজীপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে জিসান নিখোঁজ হন। জিসান মাঝে মধ্যেই তার মোটরসাইকেলটি 'পাঠাও' সার্ভিসে চালাত। নিখোঁজের পর তাকে না পেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি জিডি করা হয়। গাছা থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।