লক্ষ্ণীপুরে লাইসেন্স ছাড়াই চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের রমরমা ব্যবসা

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৯, ০০:০০

লক্ষ্ণীপুর প্রতিনিধি
অনুমতি ছাড়াই লক্ষ্ণীপুরে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান। লাইসেন্সবিহীন এসব দোকানে দেদার বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনের চোখের সামনে অবৈধ এ ব্যবসা চলে আসলেও অদৃশ্য কারণে তারা দেখেও না দেখার ভান করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে পুরো জেলায় চলছে এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা। রাস্তাঘাট, হাটবাজার ও প্রধান সড়কের পাশে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। ফলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। অভিযোগ রয়েছে, একাধিক দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে। আবার এই সব মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার গাড়িতে বহন করা হচ্ছে। এতে করে বাড়ছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ৮টির কম গ্যাস সিলিন্ডার রাখলে লাইসেন্স প্রয়োজন হবে না। আইনের এমন সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করছে তারা। এ দোকান গুলোতে নেই প্রাথমিক বিপর্যয় রক্ষায় ড্রাই পাউডার ও সিও ২ সরঞ্জামসহ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। এদিকে বিস্ফোরক আইন ১৮৮৪ এর দ্য এলপি গ্যাস রুলস ২০০৪ এর ৬৯ ধারার ২ বিধিতে লাইসেন্স ছাড়া কোনো ক্ষেত্রে এলপিজি মজুদ করা যাবে না বলা হয়েছে। বিধি অনুযায়ী ৮টি গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার মজুদের ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিতে হবে। একই বিধির ৭১নং ধারায় বলা আছে, আগুন নেভানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম মজুদ রাখতে হবে। এ আইন অমান্য করলে নূূ্যনতম দুই বছর ও অনধিক পাঁচ বছরের জেলসহ অনধিক ৫০ হাজার টাকায় দন্ডিত হবেন এবং অর্থ অনাদায়ী থাকলে অতিরিক্ত আরো ৬ মাস পর্যন্ত কারাগারের থাকার বিধান রয়েছে। এ বিষয়ে লক্ষ্ণীপুর জজ কোর্টর অ্যাডভোকেট আবু ইউছুপ বলেন, 'লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিভিন্ন কোম্পানির ডিলারদের বিপণন কৌশলে প্ররোচিত হয়ে আইন অনুসরণ না করে ব্যবসা করছেন এসব খুচরা ব্যবসায়ী।' এদিকে লক্ষ্ণীপুর শহরের ওমেগা এলপি গ্যাসের ডিলার সৌরব হোসেন রুবেল জানান, লাইসেন্সবিহীন অবৈধ এ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন ও বিস্ফোরক অধিদপ্তর কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা খোলামেলাভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্ণীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল জানান, ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।