সংবিধান পরিবর্তনের দায়িত্ব জনগণের অন্য কারও নয় লন্ডনে মির্জা ফখরুল
প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'সংবিধান পরিবর্তনে বিএনপির দ্বিমত নেই, সেটা সংবিধান পরিবর্তন বা নতুন করে লিখন যাই হোক না কেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কে করবে? এটি করার এখতিয়ার কার? সংবিধান পরিবর্তনের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের।
শনিবার লন্ডনে বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের ৪
সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। যুক্তরাজ্য বিএনপির আয়োজনে সভায় বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের মালিকানার প্রতিফলন হয় সংসদে। কিন্তু কেউ কেউ বলছেন, আমরা করে ফেলব। আপনারা কারা? আপনাদের ম্যান্ডেট কোথায়? কেউ কেউ বলছেন, জুলাই-আগস্টের ম্যান্ডেট, এটা এভাবে বলা যায় না।'
বিপস্নবী সরকার গঠনের প্রশ্ন তুলে ফখরুল বলেন, 'তাহলে আপনারা বিপস্নবী সরকার গঠন করলেন না কেন? বিপস্নবী পরিবর্তন আনতে পারতেন। এই সংবিধানের অধীনেই আপনারা শপথ নিয়েছেন। তবে প্রয়োজনীয় যে বিষয়গুলো সংবিধানে আছে, সেই পরিবর্তনগুলো আনতে হবে। সংবিধান সংস্কার যে কমিটি করা হয়েছে, বিএনপি এর সঙ্গেও একমত।'
অন্তর্র্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'বর্তমান সরকারকে বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে হবে। এখন সমানে হঠকারিতা করার কোনো সুযোগ নেই, একটু স্স্নিপ করলেই একদম শেষ, এ জন্য সবাইকে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে কথাবার্তাসহ সবকিছুতেই সাবধান থাকতে হবে। এবার যদি ভুল হয়, তাহলে নতুন একটি বাংলাদেশ তৈরি করার যে সুযোগ এসেছে, সেটি আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে। পতিত ফ্যাসিস্ট দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'নতুন করে গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা ফিরে পেতে কিছু কালো মেঘ জমেছে, কিছু ছোটখাটো ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করার চেষ্টা চলছে। ভারতীয় কিছু মিডিয়া প্রচারণার মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোকে প্রভাবিত করছে। যার প্রতিক্রিয়া যুক্তরাজ্য থেকেও প্রতিফলিত হয়েছে। ৫ আগস্ট থেকে ৩ দিন দেশে কোনো সরকার ছিল না, পুলিশ ছিল না।'
নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে মহাসচিব বলেন, 'সংস্কারের অভাব বিএনপি আগেই অনুভব করেছে। সংস্কার ছাড়া দেশে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। যার ফলে বিএনপি ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করে, সেখানেই পরিবর্তন সংস্কার নিয়ে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এমনকি সেখানে সংসদীয় ব্যবস্থা পরিবর্তন করা এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কতটুকু হওয়া দরকার, সে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এরপর ১০ দফা, ২৭ দফা ও সর্বশেষ ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। যার মধ্যেই সব সংস্কারের রূপরেখা রয়েছে।'