ঢাকায় ইইউভুক্ত দেশের দূতাবাস-কনসু্যলেট খোলার দাবি

প্রকাশ | ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) সব দেশের দূতাবাস বা কনসু্যলেট বাংলাদেশে খোলার দাবি জানিয়েছে ফরেন অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালটেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ফ্যাকড-ক্যাব)। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ইইউ কিছুসংখ্যক দেশের ভিসা এপিস্নকেশন সেন্টার খোলায় বর্তমান সরকারের ভূমিকাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ফ্যাকড-ক্যাব আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনটির প্রেস কনফারেন্স-বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক মামুন রানা। এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই'র বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের অন্যতম সংগঠক এবং আটাব-এর যুগ্ম মহাসচিব রোটারিয়ান আতিকুর রহমান আতিক, ফ্যাকড-ক্যাবের আহ্বায়ক কাদির খান বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. বশির আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল হক, ইমিগ্রেশন স্পেশালিস্ট ব্যারিস্টার এ কে এম রেজাউল করীম, ব্যারিস্টার মনির হোসেন এবং সংগঠনটির সদস্যরা। সংগঠনটির নেতারা দাবি করেন, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরবর্তী সময় বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা সীমিত করায়, উচ্চশিক্ষায় ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি সম্পন্ন করা দেশের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছেন। তারা জানান, ভারতীয় ভিসা না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসা এপয়েন্টমেন্ট থাকার শর্তেও তারা অ্যাম্বাসি সাক্ষাৎকার দিতে পারছেন না, যার দরুন ভর্তি সম্পন্ন করে টিউশন ফি প্রদান করা হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল এবং টিউশন ফি ফেরত না পাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। উলেস্নখ্য, শিক্ষার্থীরা ইইউ'র সংশ্লিষ্ট দেশের অ্যাম্বাসি থেকে ইন্টার্ভিউয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত পাওয়াসাপেক্ষে ইইউভুক্ত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ফেরতযোগ্য টিউশন ফি ক্লেইম করতে পারেন। সংবাদ সম্মেলেনে তারা আরও বলেন, স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে, দেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে ইইউ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর অ্যাম্বাসি অথবা কনসু্যলেট দেশে স্থাপনের কোনো বিকল্প নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সব দেশের অ্যাম্বাসি-কনসু্যলেটসেবা সরাসরি আমাদের দেশ হতে পাওয়া গেলে, শিক্ষার্থীদের স্বল্প খরচে ইউরোপে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে এবং শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সময়, শ্রম এবং আর্থিক ব্যয় অনেকাংশে কমে আসবে। এতে করে ইউরোপের দেশগুলোতে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক গমনের সংখ্যা ২০ শতাংশ থেকে উন্নীত হয়ে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। বক্তারা বর্তমান সরকারের দক্ষতা, আন্তরিকতা ও সার্বিক প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশের ভিসা এপিস্নকেশন সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উলেস্নখ্য, উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপর দেশগুলো আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের একটি অন্যতম পছন্দের জায়গা। ইউরোপের দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক স্কলারশিপ অফার করে থাকে এবং টিউশন ফি তুলনামূলক কম থাকায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়। পাশাপাশি ইউরোপে ভর্তি প্রক্রিয়া তুলনামূলক সহজ হওয়ায়, জীবনযাপন খরচ তুলনামূলক কম থাকায় এবং পড়াশোনার পাশাপাশি জবের সুযোগ থাকায় আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী সবার মধ্যে ইউরোপ একটি অন্যতম ডেসটিনেশন।