বিশ্বাসের সঙ্গে বেইমানি করলে ইউনূসকেও ছাড় নয় : সারজিস
প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
রাজশাহী অফিস
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, গণ-অভু্যত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেইমানি করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ড. ইউনূসও যদি হয় তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না। শনিবার রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে জুলাই গণ-অভু্যত্থানে রাজশাহী বিভাগের শহীদ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, 'শুধু বাংলাদেশ পুলিশ নয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবাইকে আমাদের জায়গা থেকে অনুরোধ করবো, আমরা কারও অন্ধ দালাল নই। আমরা কোনো ক্ষমতা পিপাষু নই। বিবেক-বোধের জায়গায় যদি আমাদের মনে হয় যে কেউ এই অভু্যত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন এমনকি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসও যদি হয় আমরা তাকেও ছেড়ে কথা বলব না।'
রাজশাহী বিভাগের ৪৬ শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয় জুলাই শহীদ
স্মৃতি ফাউন্ডেশন। প্রতিটি শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সারজিস আলমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা জুলাই শহীদদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সহায়তার চেক তুলে দেন।
এর আগে বক্তব্যে সারজিস আলম আরও বলেন, 'শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের হত্যার সঙ্গে যারা ছিল তাদের বিচারের জন্য যদি শেখ মুজিবুর রহমানের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের প্রয়োজন না হয় তাহলে ২০২৪ এর গণ-অভু্যত্থানে খুনি হাসিনার হুকুমে এই বাংলাদেশে যারা গুপ্তহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচারের জন্য সেই শহীদদের লাশ কেন তুলতে হবে? ২০২৪ এর গণ-অভু্যত্থানে যারা জড়িত ছিল, যারা শহীদ হয়েছেন তাদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না।'
আমরা স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়কে বলতে চাই, যে ভাই তার জীবন দিয়ে নতুন বাংলাদেশ এনে দিয়েছে, যে ভাইয়ের জীবনের বিনিময়ে ওই চেয়ারগুলোতে আপনারা বসে রয়েছেন, ক্ষতবিক্ষত সেই মা-বাবা ভাই-বোনদের সামনে তাদের লাশ তুলতে পারেন না বলেও উলেস্নখ করেন তিনি।
এ সময় জুলাই শহীদদের হত্যা মামলাগুলোর বিচারকার্য পর্যন্ত নিয়ে যেতে যারা অসহযোগিতা করবে তারাও হত্যাকারী হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও মন্তব্য করেন সারজিস আলম।
তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনা বলে আমরা ভারতকে যা দিয়েছি সারাজীবন মনে রাখবে। তাই একটি কথা বলে দিতে চাই, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কি হবে তা আপনাদের কাজের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। যে খুনি হাসিনা বাংলাদেশের এতো মানুষকে খুন করে পালিয়ে গেছে, যে খুনি হাসিনা এ দেশ থেকে মানুষের দ্বারা তাড়িত হয়েছে, যাকে আপনারা আশ্রায় দিয়েছেন। যদি এই বাংলাদেশের সঙ্গে আপনারা সম্পর্ক ভালো রাখতে চান তাহলে খুনি হাসিনাকে আশ্রয় না দিয়ে ফেরত দিতে হবে।'
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আলমগীর হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমিটির সদস্য মেহেরাব সিফাত, মোবাশির উজ জামান, মাহিন সরকার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের আবু সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আক্তার প্রমুখ।