মাদকবিরোধী অভিযানে গুলিতে নিহত আরও ২

প্রকাশ | ২৬ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সারাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে খুলনা ও রাজশাহীতে র‌্যাবের গুলিতে দুই আসামি নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে খুলনার দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা এলাকা এবং রাজশাহীর দামকুড়া থানার কসবা এলাকায় গোলাগুলির এসব ঘটনা ঘটে বলে র‌্যাব কমর্কতাের্দর ভাষ্য। তারা বলছেন, নিহত দুজনই স্থানীয়ভাবে মাদক চোরাকারবারি হিসেবে কুখ্যাত। দুই জায়গা থেকেই অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিদেের্শ মে মাসে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর প্রায় প্রতি রাতেই কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘মাদক বিক্রেতাদের’ নিহত হওয়ার খবর দিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ধরনের ঘটনায় গত আড়াই মাসে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : খুলনা : খুলনায় র‌্যাবর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা ও মাদক চোরাচালানের সাত মামলার এক আসামি নিহত হয়েছে। র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার এএসপি বজলুর রশিদ বলছেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে নগরীর দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ইমরান ওরফে রকি (৩৮) নগরীর দৌলতপুর থানার দেয়ানা এলাকার শেখ মিজানুর রহমান ওরফে হাতকাটা মিজানের ছেলে। পুলিশের তৈরি করা ‘শীষর্ মাদক ব্যবসায়ীর’ তালিকায় রকির বাবার নামও রয়েছে বলে এএসপি বজলুর রশিদ জানান। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে মহেশ্বরপাশা এলাকায় একটি মোটরসাইকেলে তিন যুবককে দ্রæত যেতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় র‌্যাবের টহল দল তাদের থামার সংকেত দেয়। কিন্তু তারা না থেমে গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। র‌্যাব পিছু নিলে ওই মোটরসাইকেল থেকে তারা গুলি করে। র‌্যাব সদস্যরাও তখন পাল্টা গুলি চালায়। একপযাের্য় রকি গুলিবিদ্ধ হলে তাকে ফেলে বাকি দুজন পালিয়ে যায়। রকিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে এএসপি বজলুর রশিদ জানান। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, তিন রাউন্ড গুলি ও ৩০৮টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। রাজশাহী : রাজশাহীর পবায় র‌্যাবর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন এক মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়েছে। রাজশাহীর র‌্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আশরাফুল ইসলাম বলছেন, মঙ্গলবার রাত আড়াইটায়র দিকে পবার দামকুড়া কসবা এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে। নিহত সাজ্জাদ হোসেন (৩৫) হরিপুর বনপাড়া গ্রামের সইম উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক চোরাচালান ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আটটি মামলা রয়েছে বলে র‌্যাব কমর্কতাের্দর ভাষ্য। মেজর আশরাফুল বলেন, দামকুড়া এলাকায় মাদক কেনাবেচার খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়।